প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোলা চিঠি দিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা আবু শাকের তানিন। চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা, আসসালামু আলাইকুম। আপনার কাছে খোলা চিঠির মাধ্যমে কিছু কথা বলছি। পৃথিবীর বুকে একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যেখানে দেশের স্বাধীনতার বিরোধীতাকারীরা সম্মানের সহিত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।। আমার “বাবা” তিনবার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বিবেচিত হয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল থেকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দূর সময়ে চরফ্যাশন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ১২বছর। যুদ্ধচলাকালিন চরফ্যাশন উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয় কেন্দ্র ছিল আমাদের বাড়িটি। এবং একমাত্র আমাদের বাড়িটিই জ্বালিয়ে দিয়েছিল রাজাকার বাহিনী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আমি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলাম চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা থেকে। যার কারনে আমার বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় -অদৃশ্য শক্তি। ঐ তালিকায় যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি তাদের নামও অন্তর্ভুক্ত আছে। সবশেষে আমি আমার জন্মভূমি চরফ্যাশন ও মনপুরায় হয়েছি নিষিদ্ধ।এরই নাম কি ক্ষমতা। আমি তো দেশরত্ন মমতাময়ী শেখ হাসিনা আপার কর্মী। আপা আপনি যখন সংসদ এরিয়ায় সাব-জেলে ছিলেন, আমি বুকে হাত রেখে হলফ করে বলতে পারি, আমি এবং আপনার পাগল কর্মীরা সাব-জেলের বাহিরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থাকতাম। আপা আপনার মুক্তির জন্য যখন রাজপথে নামেছিলাম তৎকালীন পুলিশি নির্যাতনে শিকার হয়ে আমার বাম হাত কবজি থেকে ভেঙে যায়। আপা আপনি যখন গনতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন রাজপথে নেমে আন্দোলন সফল করার জন্য যখন সক্রিয় ছিলাম তৎকালীন পুলিশি নির্যাতনে আমার মাথায় পাঁচটি সেলাই লাগে। আপা আপনি যখন লংমার্চের ডাক দিয়েছিলেন লংমার্চ সফল করার জন্য ঢাকা সদরঘাট থেকে চরফ্যাশন ও মনপুরার নেতা কর্মীদের রিসিভ করতে গিয়ে সকল নেতাকর্মীসহ- বিএনপি ও জামায়াত বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হই।ঐ দিন সন্ধায় নির্যাতিত নেতা কর্মীদের নিয়ে আপনার কাছে গিয়েছিলাম, আমি আপনার পায়ের কাছে মেজেতে বসেছিলাম। আপনি ত্রিশ মিনিট সময় দিয়েছিলেন আমরা সেদিন আপনার কাছে জ্যাকব ভাইয়ের নমিনেশন চেয়েছিলাম। আপা আপনি যখন গনতন্ত্র রক্ষার জন্য মঈনউদ্দীন ও ফকরাউদ্দিনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরেছিলেন সেদিন ঢাকা কাজীপাড়া থেকে হেটে বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম আপনাকে রিসিভ করতে। আপা আপনার সাথে ঐ সময় একদিন দেখা করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল আপনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন সাহস ও মনোবল নিয়ে কাজ করতে হবে এবং আমার বাবা ও মাকে আপনার সালাম পৌছে দিতে। আপনার ব্যক্তিগত সহকারী আওলাদ ভাইকে বলেছিলেন আমার প্রতি খোজ খবর রাখতে। এরপর দল ক্ষমতায় আসলো গনতন্ত্রের বিজয় হলো। আপনার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম আমি সালাম দিয়ে আপনাকে বলেছিলাম আপা আমি তানিন, আপনি আমাকে বলেছিলেন তানিন টেলিভিশন। আপনার দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছি আপা।যদি কখনো আবার রাজপথে নামার প্রয়োজন হয়। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা। আবু শাকের তানিন সাবেক নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ( রিপন- রোটন কমিটি) সাবেক সহসম্পাদক & বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটি। সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী তৃনমূল কর্মী পরিষদ।