আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২০
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর একটি চর এলাকায় নিজ ঘরে দুই সন্তানের জননীকে হাত পা বেধে মারধোর শেষে গণধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ্য অবস্থায় ভোরে তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এখনও মামলা করতে পারেনি ভূক্তভোগিরা কিন্তু সকাল থেকে মামলা না করার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে। অপরদিকে ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্ত শাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমার্গারেট গ্রাম। জেলা সদর থেকে দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। গতকাল রাত নয় টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে ওই গ্রামের জলিল সর্দারের ঘরে আগে থেকেই ওৎ পেতে ছিল স্থানীয় বখাটে শাকিব, আরিপ এবং আল হাদিব। রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে প্রবেশের সাথে সাথেই জলিলের স্ত্রীর (মরিয়ম বেগম) হাত পা বেধে মাটিতে শুইয়ে ফেলে। পর্যায়ক্রমে ধর্ষন করে ঘরের মধ্যে রাখা নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। অসুস্থ্য অবস্থায় প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা নদী পথ পাড়ি দিয়ে রাত ২টার দিকে পাশর্^বর্তি গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আনার পর তাকে রেফার করলে ভোর সোয়া ৫টায় পটুয়াখালীর ২৫০শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জানান ভিকটিমের স্বামী মোঃ জলিল সর্দার।
ভিকটিমের নিকটাত্মীয় জহিরুল জানান, পূর্বশত্রæতার জেরে দূর সম্পর্কের মামাত ভাইর ছেলে শাকিব সংঘবদ্দ হয়ে এ কাজ করেছে।
এদিকে রাতে গলাচিপার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত সেবিকা মোমেনা বেগম জানান, ভিকটিমের শরীরে ধর্ষনের আলামত দেখতে পাওয়ায় তাকে দ্রæত পটুয়াখালী রেফার করা হয়েছে। এরআগে তার সাথে ধর্ষনের বর্ননা দেন ভিকটিম নিজে।
বিষয়টি রাতেই ইউনিয়ন চৌকিদারসহ চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই বেল্লালকে অবহিত করলেও তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, তাকে মারধর করা হয়েছে এমন সংবাদ দেয়া হয়েছিল। যাইহোক আমি ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি জানান এসআই বেল্লাল।
বিষয়টি জানা আছে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাশফাকুর রহমানের। দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিলেন তিনি। ##