আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২১
মোঃমহিবুল্লাহ (স্টাফ রিপোর্টার):
করনার ২য় ধাক্কায় যখন মৃত্যুমিছিল পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের করুন অবস্থা, ঠিক তখনই বাংলাদেশ লকডাউন এর মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সচেতন হওয়া উচিত দেশের প্রতিটি জনগণের। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকানপাট খোলার কথা থাকলেও, এটা মানছেন না কোন ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা।
বরিশালের চকবাজার,হাজী মুহাম্মদ মহসীন মার্কেট,গীর্জা মহল্লা,কাটপট্টি এলাকা ঘুরে দেখা গেল এখানে কোন দোকানেই স্বাস্থ্য বিধি মানার তেমন কোনো বালাই নাই। শুধুমাত্র কাগজে/স্টিকারে লেখা “মাক্স নাই, সেবা নাই” ব্যাস কাজ সারা হয়ে গেল। কিন্তু বাস্তবে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে মাক্স তাদের কাছে তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় না। কারন, অধিকাংশ দোকানেই দেখা যায় মাক্স ছাড়াই ক্রেতা-বিক্রেতা দর কষাকষি করতাছে। তাছারা কিছু কিছু দোকানে জীবানুনাশক স্প্রে আছে শুধু দেখানোর জন। হয়তোবা প্রশাসনের ততপরতা উপর ভিত্তি করে এগুলো স্প্রে করা হয়।
চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো পথচারীকেই দেখা যায় না সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে। আসলে পার্শবর্তী রাষ্ট্রে যেই ভয়াবহ অবস্থা, প্রতিদিন প্রায় ২হাজারের বেশী মানুষ পরাজয় বরন করছে এই মহামারির কাছে। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশ তুলনা মূলক ভালো থাকলেও প্রতিদিন প্রায় ১০০জনের বেশী মানুষ পরাজয় স্বীকার করে এই মহামারির কাছে।
আমাদের পাশেই হয়তো কোন আক্রান্ত রোগী আছে, আমার মনের অজান্তে আমরা তাদের সাথে বের হচ্ছি। আক্রন্ত হচ্ছি আমরা ঝুকিতে ফেলছি আমাদের পরিবারকে। আসুন এই মহামারির ভয়াবহতা রোধে “নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি। আমরা ভালো থাকি, দেশ ভালো থাকবে।”