• ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান !

report71
প্রকাশিত অক্টোবর ১৯, ২০১৯, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ণ
রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান !

নিজস্ব প্রতিবেদক : রক্ষক হয়ে একের পর এক ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বিতর্কিত উপজেলা চেয়ারম্যান।মাদক ব্যাবসা ,চাদাবাজী,দখলের পর এবার ডিমওয়ালা মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা অরোপ কালীন সময়ে, জেলেদের নিয়ে ইলিশ শিকার করতে গিয়ে প্রশাসনের নিকট ধরা পরেছেন বহুল বিতর্কিত উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ মনু ওরফে মনু মিয়া। মৎস্য অবরোধকালীন সময় পিরোজপুরের সন্ধ্যা নদীতে বৃহষ্পতিবার মৎস্য অভিযানে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সামনে রাত ২টার দিকে সন্ধ্যা নদীতে ধরা পরেন তিনি। এ সময় জেলে, নৌকা,জাল ও ইলিশ সহ তাকে আটক করা হয়।ইতিমধ্যে মনুর মাছ শিকারের ছবিসহ সংবাদটি অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে। মৎস্য অভিযানে থাকা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের ইঞ্জিন চালিত ট্রলারটি উপজেলা চেয়ারম্যানের ট্রলারের কাছে ভিড়তেই কিংকর্তব্যবিমুর হয়ে যান তিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান মনুকে রাত ২টার দিকে এভাবে নদীতে দেখে বিস্মিত হয়েছেন পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন।মৎস্য কর্মকর্তা এ সময় চেয়ারম্যান মনুর কাছে জানতে চান, কেন তিনি মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে নদীতে নেমেছেন। এ সময় মনু মৎস্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি তিনি পরে সমাধান করবেন বলে জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান মনু বলেন, কাউখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফনি ভূষন পালকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই জেলেসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে অভিযানে নেমেছেন। জেলা মৎস্য অফিসার জানান, চেয়ারম্যান মনুকে এ সময় একজন পুরোদস্তুর জেলের বেশে কোমড়ে বাঁধা গামছা, লুঙ্গি এবং সাদা গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় । এ বিষয় উপজেলা চেয়ারম্যান মনু জানান, তিনি নদীতে মা ইলিশ পাহারার জন্যই নিজের লোকদের নিয়ে নদীতে এভাবে নেমেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, মনু প্রায়ই তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে বের হন। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতেও তিনি নদীতে মাছ ধরার জন্য গিয়েছিলেনে। এদিকে বিতর্কিত মনুর মাছ ধরার থবর কাউখালী এলাকায় ছড়িয়ে পরলে স্থানীয় ভোটারদের মাঝে মনুর প্রতি নাভিস্বাষ তৈরী হয়েছে। এ ধরনের জনপ্রতিনিধি সকলের জন্য হুমকিস্বরুপ বলে প্রতিক্রিয়া করেন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা।তবে নীরিহ জেলেদের বিভিন্ন সময়ে আটকের পর কারাদন্ড দেয়া হলেও মনুকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। ক্ষুদ্র সৎস্যজীবি জেলে সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা আণোয়ার হোসেন বলেন,প্রায়ই অভিযানে অনেক অসাধূ জনপ্রতিনিধি জোর করে ও প্রলোভন দেখিয়ে নদীতে জেলেদের দিয়ে মাছ ধরায় ,তবে মনু চেয়ারম্যান হাতেনাতে আটক হলেও তাকে কোন শাস্তি দেয়া হয়নি ।আমরা তার শাস্তি দাবী করছি।##