আপডেট: মার্চ ৭, ২০২০
বরিশাল শহরে ঝাউতলা রোডের ঝাউতলা পুকুর মাটি ভরাট ও দখল এর সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রীট পিটিশন দায়ের করলে ৩০.০৯.২০১২ তারিখে পুকুরে মাটি ভরাট ও দখল কেন বে-আইনি ঘোষনা করা হবে না মর্মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন ও স্থিতিবস্থার আদেশ দেন।
রুলের জবাবে বরিশালের জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এফিডেভিট ইন অপজিশন দাখিল করা হয় এবং পুকুরের মালিক দাবিদারগন আনোয়ার হোসেন গং জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত পুকুর দাবি করে ভরাট করার আইনগত অধিকার আছে বলে দাবি করেন।
শুনানিতে বাদী পক্ষের কৌশুলি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এবং প্রৃাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ এর বিধান অনুসারে পুকুর ভরাট করা বে-আইনি।
তিনি আরও বলেন সংবিধানের আর্টিকেল ১৮এ অনুসারে পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি নির্দেশনা থাকায় তা লংঘন করে পুকুর ভরাট এর উদ্যোগ নিয়েছে, যা সম্পূর্ণ বে-আইনী।
তিনি আদালতে বলেন জলাধার আইন এর সংজ্ঞায় পুকুর এ ব্যাখ্যা উক্ত আইনের মুল উদ্দেশ্যের সাথে একত্রে পড়তে হবে তাহলে স্পষ্ট হবে যে ব্যক্তিগত পুকুর হলেও তা ভরাট করা যাবেনা।
আদালত আইনের ব্যাখ্যা সম্পর্কে বিজ্ঞ এ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শুনেন এবং গত বৃহস্পতিবার রায় দেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর ডিভিশন বেঞ্চ গত ৫.০৩.২০ তারিখ রায় প্রদান করে রুল এবসলিউড করেন এবং বরিশাল শহরে ঝাউতলা রোডের ঝাউতলা পুকুর মাটি ভরাট অবৈধ ঘোষনা করেন এবং পুকুরটি যথাযথভাবে সংরক্ষনের নির্দেশ দেন।
আদালত রায়ে জলাধার আইন এর সংজ্ঞা বিশ্লেষন করে ব্যাখ্যা দেন যে, ব্যাক্তিগত পুকুর হলেও প্রচলিত আইনে সেকশন ২(চ) এর সংজ্ঞা অনুসারে পুকুর জলাধার হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আইনের মুল উদ্দেশ্য বিশ্লেষন করলে আইন প্রনেতাদের আইন প্রনয়নের উদ্দেশ্যও তাই বলে প্রতীয়মান হয়।
আদালত বলেন যে, পুকুর ব্যক্তিগত হলেও জলাধার আইনে তা ভরাট করা যাবে না।
বাদী পক্ষে শুনানী করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট রিপন বাড়ৈ ও এডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল।
সরকার পক্ষে ছিলেন অমিত তালুকদার, পুকুর এর জমি দাবিদারদের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মোঃ মনিরুজ্জামান।