১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

আমতলীতে তরমুজের বাম্পার ফলন : বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রামনে ক্রেতা সঙ্কটে বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। কৃষকরা জানান, বাম্পার ফলন হলেও করোনা ভাইরাসের কারনে ক্রেতা কম থাকায় কম মূল্যে তরমুজ বিক্রি করতে হবে।

এতে লাভের মুখ দেখাতো দুরের কথা আসল টাকা উঠবে না। তারা সরকারীভাবে তরমুজ বাজারজাত করনের দাবী করেন।

জানাগেছে, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের এ বছর তরমুজের লÿমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ২’শ হেক্টর। এক হাজার ২০ হেক্টর অর্জিত হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিস।

ফলনও ভালো হয়েছে। গত বছরের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতো কৃষকরা। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সরকার সারাদেশব্যাপী অঘোষিত লকডাউন দিয়েছে। এতে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে তরমুজের ক্রেতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

ক্রেতা সঙ্কটে তরমুজ বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।

আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের তরমুজ চাষি মোঃ আবু সায়েম হাওলাদার বলেন, তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু তরমুজের ক্রয় করতে কোন পাইকার আসছে না।

দুই একজন পাইকার এসে চলে যায় কিন্তু দাম বলছে না। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে তরমুজ ক্রেতা কম।

তরমুজ চাষি রুবেল বলেন, তরমুজের কোন পাইকার নাই। মোরা তরমুজ নিয়া কি হরমু হেইয়্যা চিন্তা হইর‌্যা কুল পাই না। করোনা ভাইরাসে মোগো তরমুজ চাষিদের কপাল পুইর‌্যা হ্যালাইছে।

কুকুয়া গ্রামের কৃষক রাজ্জাক মৃধা বলেন, সাড়ে আট লÿ টাকা ব্যয়ে ২৪ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। তরমুজের ফলনও ভালো হয়েছে।

কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে ক্রেতা পাচ্ছি না। তরমুজ বিক্রি নিয়ে মহাচিন্তা আছি।

গাজীপুর গ্রামের কৃষক বাহাউদ্দিন বলেন, ৭ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। যদি করোনা ভাইরাসের প্রভাব কমে যায় এবং ক্রেতা পাই তাহলে লোকসান হবে না। লাভে বিক্রি করতে পারবো।

হলদিয়া ইউনিয়নের কুলইরচর গ্রামের কৃষক জাফর প্যাদা বলেন, তরমুজতো ভালোই অইছে কিন্তু মরণ অবস্থা। গাড়ী চলে না, ক্রেতা নেই।

ব্যাচতে পারছি না। করোনায় মোগো কপাল খাইয়্যা হালাইছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে ক্রেতা সঙ্কটে তরমুজ চাষিরা।

করোনা ভাইরাসের এ অবস্থা কেটে গেলে ভালো লাভবান হবে চাষিরা। কিন্তু বর্তমান অবস্থা সচল থাকলে চাষিদের অনেক লোকজসান গুনতে হবে। তিনি আরো বলেন,সরকার যদি বাজারজাত করনের উদ্যোগ নেয় তাহলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network