আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২০
বরিশালে ১২তম দিনেও পাল্টায়নি লকডাউনের চিত্র।
বরং রমজান শুরুর আগের দিন আজ শুক্রবার মুদী দোকান এবং বাজারগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়।
প্রশাসনের নানামুখি তৎপরতার পরও দোকান, বাজারসহ রাস্তাঘাটের কোথাও ছিল না শারীরিক দূরত্ব মানার প্রবণতা।
এছাড়া শুক্রবার রাস্তাঘাটেও আগের দিনের চেয়ে তুলনামূলক বেশি সংখ্যক মানুষ এবং যানবাহন দেখা গেছে।
যদিও সরকারি নির্দেশ অনুসরণ করে জুমার আজানের পর বিভিন্ন মসজিদ তালাবদ্ধ করে দিতে, আবার কোথাও আজানের পরপরই সংক্ষিপ্ত পরিসরে তরিঘরি করে জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।
গত ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর দেহে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ায় ওইদিন রাত থেকেই জেলা প্রশাসন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে নগরীসহ পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করে।
কিন্তু লকডাউন উপক্ষো করে প্রতিদিনই রাস্তাঘাটে নামছেন প্রচুর সংখ্যক মানুষ।
যদিও রাস্তায় নামা জনগণের সংখ্যা বরিশালের মোট জনসংখ্যার মাত্র একভাগ এবং এই সংখ্যা শূন্যতে নামিয়ে আনার নানামুখি তৎপরতা চলছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দ্বাদশ দিনে রমজান শুরুর আগ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় বাজার এবং কেনাকাটা করতে প্রচুর সংখ্যক মানুষ বেরিয়েছেন রাস্তায়।
বিশেষ করে মুদী দোকান এবং বাজারগুলোতে রমজান কেন্দ্রিক কেনাকাটার হিরিক পড়ে।
এসব স্থানে শারীরিক দূরত্ব মানার কোন বালাই ছিল না।
সরকারি স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করায় শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৯টি কাপড়ের এবং একটি মুঠোফোন বিক্রির দোকানে আর্থিক জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়াও রড-সিমেন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স এবং কসমেটিক্সসহ এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় অনেক দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে নগরীর অনেক এলাকায়।
লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বরিশালে নানামুখি তৎপরতা চালাচ্ছে।
তারপরও শুক্রবার ১২তম দিনে একটু পাল্টায়নি লকডাউনের চিত্র।
বরং রমজান কেন্দ্রিক কেনাকাটার কারণে আর বেশি সংখ্যক মানুষকে রাস্তায় দেখা গেছে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান আবারও নিজেকে, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের মানুষকে সুস্থ রাখতে লকডাউনকালীন সময়ে সবাইকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন।