আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২০
চিকিৎসকের ডান পা ছিল ভাঙ্গা। তার পিঠে একটি আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানা গেছে। মাথায় বা শরীরে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না। আর লিফটের নীচেই বা কিভাবে পড়লেন তা নিয়ে সৃস্টি হয়েছে রহস্যের। সারা রাত তাকে নাকি খোজা হয়, তাহলে তার চিৎকার কারো কানে কেন পৌছুলো না তার কারণও খুজছে পুলিশ। পুলিশের সাথে তদন্তে যোগ দিয়েছে পিবিআই ডিবির একটি দল। ক্লিনিকের এবং বাইরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ৯ কর্মচারীকে। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি, কোতোয়ালি থানা) মো. রাসেল। তিনি বলেন, মমতা হাসপাতালের নয় কর্মীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্ত ও বিভিন্ন আলামত উদ্ধারে থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই এবং সিআইডি পুলিশের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে কাজ করছেন। ।
মঙ্গলবার সকালে নগরের কালিবাড়ি রোডের মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে উদ্ধার হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এমএ আজাদের (সজল) মরদেহ। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে তার স্ত্রী ঢাকা থেকে ফোনে যোগযোগ করে না পাওয়ায় মমতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার রুমে তালা দেওয়া দেখে পুলিশে খবর দেয়। সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে ওই কক্ষের তালা ভাঙা হয়। সেখানে তার চশমা ও মোবাইল ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর খোঁজাখুঁজি করে হাসপাতালের নিচতলায় লিফটের নিচে তার মরদেহ দেখতে পান মমতা হাসপাতালের এক কর্মী।
জানা গেছে, ডা. এমএ আজাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের স্বরুপকাঠিতে। শের-ই বাংলা মেডিকেলে দায়িত্ব পালন শেষে শহরে কালীবাড়ি রোডে মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোগী দেখতেন ডা. আজাদ। দশতলা ওই ভবনের ১ থেকে ৬ তলা পর্যন্ত হাসপাতালের কার্যক্রম চলে। দোতলায় ছিল ডা. আজাদের চেম্বার। এ ভবনেরই সপ্তম তলার একটি ইউনিটে একা থাকতেন তিনি। লিফট চালু থাকায়, নীচে কিভাবে পড়লেন এটিই পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে। তার চিৎকার কেন কারো কানে গেল না সেটিও রহস্যের সৃস্টি হয়েছে। ডাঃ সজলের মামা মুনির হোসেনসহ তার নিকটাত্মিয়দের দাবি এটি হত্যাকান্ড।