আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২০
সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম টিপুকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে নিজ দলের সন্ত্রাসীরা। শনিবার (০৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে নগরীর কালীবাড়ি রোডস্থ সরকারি বরিশাল কলেজ সংলগ্ন শ্রীনাথ চ্যাটার্জি লেনে এই ঘটনা ঘটে।
মুমূর্ষু অবস্থায় টিপুকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বছর কয়েক আগে একই স্থানে একইভাবে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছিল টিপু’র ছোট ভাই জিতুকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘নিজ দলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা গেছে বলেও জানয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুুরুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ‘ছাত্রদল নেতা টিপু একটি হোটেলে বসা ছিলেন। আকস্মিকভাবে মোটরসাইকেল যোগে আসা একদল সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা করে।
এসময় টিপুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। যাওয়ার সময় তারা হোটেলটিতেও হামলা-ভাংচুর করে।
পরবর্তী স্থানীয়রা টিপুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা অনেকটা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্তে যাতটুকু জানা গেছে তাতে দলীয় কোন্দলে এই ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘শনিবার বিএনপি’র দলীয় কর্মসূচি চলাকালে সদর রোডস্থ অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে হামলাকরীদের সাথে পিটু’র কথা কাটাকাটি হয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরেই হামরা হয়েছে কিনা সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আবার তার ছোট ভাই জিতুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িতরাই তার ওপর হামলা করেছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে ‘হামলার ঘটনায় ৮-১০ জন অংশ নিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এর মধ্যে দু’জনের নাম জানা গেছে। তাদের গ্রেফতারে এরি মধ্যে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ‘এর আগে নিজ দলীয় কোন্দলের জের ধরে রাতের আঁধারে রফিকুল ইসলাম টিপুর ছোট ভাই সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদল নেতা রাফসান আহমেদ জিতুকে একই স্থানে একই ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।