আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২১
দুমকি(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকিতে লেবুখালী হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন লোহার সেতুটির স্লিপারসহ দু’পাশের ভিমগুলো ভেঙে এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি পার হতে হয় চরম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। মনে হয় এই বুঝি ব্রিজটি ভেঙে পড়ল। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় দু’পারে লাল নিশান টাঙিয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তবুও মানুষের চলাচলের বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে এই ব্রিজটিই ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আতঙ্ক বিরাজ করছে লেবুখালী এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ভারানী খালের এ সেতুটি কয়েক বছর আগে একটি জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ভেঙে যায়। এতে খাল পারাপারের সমস্যা দেখা দিলে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি মেরামত করে। ফলে সাময়িকভাবে চলাচল করা সম্ভব হয়। লেবুখালী বাজার ও বিদ্যালয়ে আসার সহজ ও একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই সেতুটি। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে পারাপার হতে হয় স্থানীয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। বিশেষ করে লেবুখালী হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই সেতু দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। তার ওপর ভেঙে নড়বড়ে হয়ে পড়ায় এই এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের কাছে এখন সার্বক্ষণিক ঝুঁকি হয়ে দেখা দিয়েছে এই সেতুটি। স্থানীয়রা বলছেন, খালের ওপর একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হলে সব দিক দিয়েই ভালো হবে।
এ প্রসঙ্গে লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, ভারাণী খালের নড়বড়ে সেতুটি দিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপার হতে হয়। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের মতো আমাদেরও ভয়ে থাকতে হয়, সেতু থেকে পড়ে কোনো শিক্ষার্থী আহত হয় কি না। সেতুটি নির্মাণের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান, লেবুখালী ভারাণী খালের ওপর সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে এটাককে আমরা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এখানে নুতন একটি ব্রিজের ব্যবস্থা করা হবে।