২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

বৃক্ষ বিহীন রত্নাবতী প্রানহীন মহাশ্মাশান

আপডেট: মে ১৭, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার: সনৎ কৃষ্ণ ঢালী
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে উদ্ভিদ ছাড়া একটি পৃথিবী কেমন হবে ? উপরে প্রদর্শিত ছবিগুলোর চেয়েও ভয়ঙ্কর ।
পৃথিবীতে গাছপালা না থাকলে কী হবে। বিশ্বাস করুন এটি আমার দুঃস্বপ্নের চেয়ে খারাপ। সমীকরণটি সহজ।
(কোনও উদ্ভিদ নয় = জীবন নেই) এবং এটি কিভাবে। পরিবেশগত জীববিজ্ঞানের মতে উদ্ভিদ বা প্রযোজকরা এর প্রধান উৎস যে কোনও বাস্তুতন্ত্রের অজৈব যৌগ থেকে বায়োমাস। এগুলি ছাড়া পৃথিবীতে কোনও জীবনরূপের অস্তিত্ব থাকতে পারে না । এই সবুজ উৎপাদক ছাড়া কোনও মানুষ তার ডাইনিং রুমে তার এক কাপ চা উপভোগ করতে পারে না। কোনও পাখি কখনও কলোরব করবে না, কোনও কুকুরও কখনও ঘেউ ঘেউ করবে না। সংক্ষেপে জীবন থাকবে না। আমাদের এই সমস্যার প্রতি আগ্রহের অভাব ধীরে ধীরে আমাদের উদ্ভিদের অপরিবর্তনীয় বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যদি এই ইস্যুটি হাইলাইট না করা হয় এবং এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে পৃথিবীতে জীবন বজায় রাখার আশা ছেড়ে দিতে হবে। সে কারণেই আমি এই বিষয়টি হাইলাইট করছি যাতে লোকেরা জানতে পারে যে এই সমস্যাটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা আমাদের গাছকে বাঁচিয়ে আমাদের গ্রহকে বাঁচানোর ব্যবস্থা গ্রহণের সময় অতি প্রয়োজনীয়। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোক বিপন্ন বন্য প্রাণী এবং ডাইনোসরদের মতো বিলুপ্তপ্রায় কিছু প্রাণী সম্পর্কে সচেতন হতে পারে তবে গাছপালা সম্পর্কে কেন নয় ?শিল্প-বিপ্লবের পর থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে দ্রুত । সারা পৃথিবী জুড়ে যত মানুষ বাড়ছে তত তারা গড়ে তুলছে অসংখ্য শহর-বন্দর, পথঘাট । গাছ কেটে সাফ করছে বন-জঙ্গল; কোথাও ভরাট করছে জলা জায়গা, কোথাও নদীতে দিচ্ছে বাঁধ । দু-এক প্রজন্মের মধ্যেই কোথাও নদীতে চড়া জেগে পত্তন হচ্ছে ফসলি জমি, আবার কোথাও উর্বর আবাদি জমি হয়ে যাচ্ছে ধু ধু মরুভূমি। আর এসব শুধুই যে চারপাশের গাছপালা, পশুপাখির ওপর ছাপ ফেলছে তা নয়, বদলে দিচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু, মানুষের জীবনযাত্রা ।”কেবল পরিবেশ সংরক্ষণেই নয়, পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্যে, জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার জনো বৃক্ষরোপণের ভূমিকার তাৎপর্য অনস্বীকার্য। বর্তমান সমাজজীবনে এবং বর্তমান বিশ্বে পরিবেশগত ভারসামোর জন্যে বৃক্ষরোপণ অতি জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে। এর মূলে যে কারণ তা যেমন আমাদের জানা খুব জরুরি তেমনি পরিবেশগত ভারসাম্যে বৃক্ষের ভূমিকা এবং গুরুত্বও আমাদের জানতে হবে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে নিচে বিভিন্ন পরিসংখ্যান, জনমত, অভিমত এবং পঠন-পাঠনের মাধ্যমে আমি আমার বস্তুনিষ্ঠ ও কার্যকর বক্তব্য উপস্থাপন করছি ।

বৃক্ষ না থাকলে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়তো। তাই বৃক্ষ মানুষের পরম উপকারী বন্ধু। সে আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের যেমন উপকার করে তেমনি তার সৌন্দর্যে হৃদয়মন হয়ে ওঠে আপ্লুত। গাছপালা দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে। বাতাসে জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে আবহাওয়াকে শীতল করে প্রচুর বৃষ্টিপাতে সাহায্য করে। উদ্ভিদ জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে অধিক উৎপাদনে সাহায্য করে। অঞ্চল বিশেষে গাছপালা সেখানকার আদি প্রবাহকে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করে ভূমিকে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। গাছপালা মূল ভূ-ভাগ ও নতুন সৃষ্ট চরাঞ্চলকে নদীর ভাঙন, বৃষ্টিপাত ও পানি-স্ফীতির হাত থেকে রক্ষা করে। এতে মাটি তার স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। অঞ্চলবিশেষের পানি সংরক্ষণ, বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ ও বিতরণে সেখানকার গাছপালা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করে। বৃক্ষাদি ঝড়-ঝঞ্ঝা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাসগৃহকে রক্ষা করে।
কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় যে, বৃক্ষের এতসব উপকারী দিত থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞতার কারণে এবং সচেতনতার অভাবে আমাদের দেশের মানুষ নির্দ্বিধায় গাছপালা কেটে রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করছে, কখনো চাষাবাদের জন্যে গাছপালা কেটে সম্পূর্ণ বনকেই নিঃশেষ করে ফেলছে। এছাড়া বিশ্বের সবচাইতে বড় একমাত্র ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে গত ২০ বছরের ২৫ বার আগুন লেগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ।এর ভিতরে কয়েক বার‌ই মানুষ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রস্থলের বা প্রানের শহর ঢাকা বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ২০১৯ সালে ১৩৮ তম এবং (অযোগ্যতায় ৩য়) ।আজ এই ঢাকা শহরের ফুসফুস সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এর শত শত বছরের পুরাতন গাছ কেটে কেন্টিন ও রানওয়ে তৈরি করা হচ্ছে ।
পাহাড় বনের অপূরণীয় ক্ষতি: কক্সবাজারের উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সড়কের দু পাশে কালো রঙের পলিথিন দিয়ে বানানো হয়েছে শত শত ঝুপড়ি ঘর। পাহাড় বনাঞ্চল এখন আর কিছুই নেই ওই এলাকায়, শুধু বন বিভাগের হিসেবেই সাড়ে চার হাজার একর পাহাড় কেটে রোহিঙ্গাদের জন্য বসতি করা হয়েছে। স্থানীয় পরিবেশবিদদের মতে রোহিঙ্গাদের বস্তির জায়গার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার একর। এই বিপুল পরিমাণ গাছ কাটার এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় আশঙ্কা রয়েছে। একক হিসেবে বলা হয়েছে যে এ পর্যন্ত ৮০০০ একর বনভূমি উজাড় করা হয়েছে। ৬৮০০ টন জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। বন্য হাতিরা সব চলে গেছে। মোট পরিবেশগত ক্ষতি ১৮৬৫ কোটি টাকা ।যার ফলে যার ফলে প্রকৃতি কে আমরা আরো বিপর্যয় এর দিকে ঠেলে দিচ্ছি । এর‌ই ফল স্বরূপ আজ বাংলাদেশের এই অবস্থা দ্য হিউম্যান কষ্ট অফ ডিজাস্টার অ্যান ওভার্ভিউ অফ দা লাস্ট ২০০০-২০১৯ এই সমীক্ষা প্রস্তুত করে ইউএনডিআরআর এন্ড সিআর‌ইডি । এতে দেখা যায় বায়ু দূষণ জনিত মৃত্যু-২০১৯ ঝুঁকিতে শীর্ষ দেশ চীন এবং বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম । দূষণজনিত মৃত্যুতে শীর্ষ দেশ ভারত, বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ । প্রতিবছর প্রকৃতিক দুর্যোগ খরা, বন্যা, দাবানল, অতিরিক্ত তাপমাত্রা এর ফলে গড়ে 60 হাজার মানুষ মারা যায় । এছাড়া অন্যান্য সকল মাত্রা ও সূচক বিবেচনা করে সব দিক থেকে দুর্যোগে বাংলাদেশের অবস্থান নবম । বিশ্ব পরিবেশ সূচক প্রকাশ করে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এতে বিশ্ব পরিবেশ সূচক ২০২০ এ পৃথিবীর ১৮০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৯ তম ।
এভাবে নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের ফলে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বপরিবেশে দেখা দিয়েছে গ্রীনহাউস প্রতিক্রিয়া। তাই আমাদের পরিবেশ তথ্য আবহাওয়া, জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখা এবং খরার কারণে খাদ্যঘাটতির হাত থেকে আজ বিপর্যস্ত ও হুমকির সম্মুখীন।দেশকে রক্ষার নিমিত্তে বনাঞ্চল সৃষ্টি ও বনসম্প্রসারণের বিশেষ প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক কারণে বনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশে বন সম্প্রসারণের উদ্দেশে প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ অভিযান চালাতে হবে এবং
সম্প্রতি তা হচ্ছে।
অবশ্য জনগণ উৎসাহিত হয়ে ইতোমধ্যে চারা লাগিয়ে গাছের যত্ন নিতে উদ্যোগী হয়েছে। ফলে বন সমৃদ্ধ হয়ে এদেশ আবার সুজলা-সুফলা সোনার বাংলা হতে পারবে বলে অনুমিত হচ্ছে। একইসাথে বৃক্ষনিধন ঘৃতাহুতি দেয়া অবশ্যই কল করতে হবে। তার পরিবর্তে মানুষের মুখে মুখে স্লোগান তুলে দিতে হবে “চলো সবাই গাছ লাগাই, নইলে জীবন রক্ষা নাই।।

অফুরন্ত সৌন্দর্যের এক মধুর্য নিয়ে আমাদের এ পৃথিবী। এই পৃথিবীকে সবুজে-শ্যামলেছে বৃক্ষরাজি। এ বিশ্বকে সুশীতল ও বাসযোগ্য করে রাখার ক্ষেত্রে বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য। আবার মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্যে যে মৌলিক চাহিদা রয়েছে তার অধিকাংশই পূরণ করে বৃক্ষ। তাই বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

বৃক্ষ নেই, প্রাণের অস্তিত্ব নেই, পৃথিবী যেন প্রাণহীন মহাশ্মশান ।কবির এ আকুতি আজ অরণ্যে রোদনে পরিণত হয়েছে। কেননা অরণ্য দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে মানুষের কুঠারের আঘ মানুষের আত্মঘাতী কর্ম কারণ বৃদ্ধ হচ্ছে পৃথিবীর আদি প্ৰণ এই আদি প্রাণ মৃত্তিকা থেকে তাদের প্রাণরস আহরণ করে নিজেকে সঞ্জীবিত করে, পত্র, পুষ্পে ও ফলে সমৃদ্ধ করে ভরে তুলেছে এ ধরণের জন্যে যে বৃক্ষ আমাদেরকে অক্সিজেন দিয়ে জীবন বাঁচিয়ে রেখেছে, প্রতিদানে আমরা তাকে নিধন করি নির্মমভাে বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্ব আজ এক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন। বৃদ্ধনিধনের কারণে সবুজে-শ্যামপে তরা পৃথিবীতে নেমে এসেছে ।

“দাও ফিরিয়ে সে অরণ্য, লও এ নগর”।

বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ : একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যে মোট ভূমির শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আমাদের দেশে মোট ভূমির মাত্র ১৬ ভাগ বনভূমি রয়েছে যা দেশের প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তবে এটি সরকারি হিসেব, প্রকৃত প্রস্তাবে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৯%, আর ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে মাত্র পাঁচ শতাংশ। দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৩.৫ শতাংশ। তাই ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। তবে আগেকার এসব আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে আজকের তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটা মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আগেকার পরিবর্তনগুলো ঘটেছে হাজার বা লক্ষ বছর সময় নিয়ে ধীরে ধীরে, অথচ আজ অনেকটা মানুষের ক্রিয়াকলাপের ফলে এসব পরিবর্তন ঘটছে অনেক কম সময়ের মধ্যে । গত হাজার বছর ধরে মানুষ প্রকৃতিকে কেবলই জয় করতে আর ব্যবহার করতে চেয়েছে, প্রকৃতির নিজের স্বাস্থ্য আর স্বস্তির প্রয়োজনের কথা তেমন ভাবেনি । আজ প্রকৃতি যেন তারই প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হয়েছে!
বহু লক্ষ বছর ধরে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা ছিল কম, তাই প্রকৃতির ওপর মানুষের প্রভাবটা তেমন বড় হয়েওঠেনি ৷ কিন্তু গত কয়েক শতকে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বিপুল হারে। মানুষ গোগ্রাসে শেষ করছে বনের গাছপালা, জমির সার পদার্থ, নদীর মাছ, ভূগর্ভের খনিজ, বাতাসের অক্সিজেন, পৃথিবীর প্রাণিসম্পদ । এর ফলেপরিবেশের ওপর যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে প্রকৃতি তার ক্ষতি কিছুতেই পুষিয়ে নিতে পারছে না । ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য আজ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে ।দেশে সময়মতো বৃষ্টিপাত হচ্ছে না এবং অসময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এভাবে নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের ফলে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বপরিবেশে দেখা দিয়েছে গ্রীনহাউস প্রতিক্রিয়া।বনায়ন বা বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে, বিশ্বের বনভূমি উজারড়হতে হতে অর্ধেকে এসে দাড়িয়েছে। এর ফলে বিশ্ব পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। মানুষ ও প্রাণীর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বৃক্ষের ব্যাপক আবশ্যকতা রয়েছে। মানব জীবনের সাথে বৃক্ষের সম্পর্ক সুগভীর। তাই বৃক্ষকে মানবজীবনের ছায়ামরূপ বলা হয়। বৃক্ষ আমাদের নীরব বন্ধু, সে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত কত যে উপকার করছে তা একবার ভেবে দেখলে অনুধাবন করা যায়- প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বৃক্ষই আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এখন সময় এসেছে যে আমরা নাগরিক হিসাবে নয়, এই বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে আমাদের দায়িত্বগুলি উপলব্ধি করেছি। আমরা যদি আজ কোন পদক্ষেপ না নিই তবে আগামীকাল আমাদের বাচ্চারা এর পরিণতির মুখোমুখি হতে চলেছে। আপনার নিজের গণ্ডির মধ্যে কাজ করুন। আগামীকাল একটি ভালোর জন্য সংগ্রাম। গাছগুলিকে জীবন দিন তারা আরও ভাল উপায়ে আপনাকে শোধ করবে ।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network