আপডেট: জুলাই ৮, ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা ভাইরাসের আক্রমণে বিশ্ব জুড়ে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে। তারই জেরে বাড়ছে খেতে না পাওয়া মানুষের সংখ্যা।করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে টানা সাধারণ ছুটিতে শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশা এখন চরমে। বিশেষ করে রিক্সাওয়ালা, হকার কিংবা সরকারের ট্রেড লাইসেন্স ও শ্রম আইনের অধীনে নেই এরকম অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কয়েক কোটি শ্রমজীবী এখন ভবিষ্যত নিয়ে অন্ধকারে।
এসব শ্রমজীবী কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেহেতু সরাসরি সরকারি আর্থিক প্রণোদনার আওতায় নেই আবার শ্রম আইনের বাইরে থাকায় পেনশন কিংবা ন্যুনতম ক্ষতিপূরণের সুযোগও নেই। তাছাড়া এই কঠোর লকডাউনে বরিশালের লঞ্চ ঘাট এলাকার যে সকল কর্মহীন, অসহায়, দুঃস্থ মানুষের দু’মুঠো খেয়ে প্রতিদিন জীবনযাপন করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।তাদের কথা চিন্তা করে বরিশালের এসএনডিসি বাংলাদেশ সহ আরো ৮টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান কে সাথে নিয়ে তারা বরিশাল নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় দুঃস্থ, অসহায় ,কর্মহীন লোকদের মাঝে আজ ৮ জুলাই দুপুর থেকে খাদ্য বিতরণ শুরু করে ।সহযোগী সংগঠন সমূহ : লাল সবুজ সোসাইটি, বিবিডিসি,ওয়াইপিএস,হাসিমুখ,মানবি,উচ্ছ্বাস।
তারা জানান “ইয়ূথ ফর কোভিড রেসপন্স, বরিশাল” নামে এটি চলবে। এমন উদ্যোগে সবসময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।লকডাউনের কারণে এসব মানুষরা স্বাভাবিক জিবিকা নির্বাহ করতে পারছেননা। ধীরে ধীরে এ কার্যক্রম পুরো জেলার বিভিন্ন স্পটে ছড়িয়ে দিতে চান আয়োজকরা। এছাড়া সামনে দিনগুলোতে তারা প্রতিদিন এক হাজার লোককে দুপুরে খাবার বিতরণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন । নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ।
বাংলাদেশের সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি নিজ উদ্যোগে অল্প অল্প কিছু কাজ করতে পারে তাহলেও বাংলাদেশের যত অসহায় দুঃস্থ গরিব লোকজন আছে তারা বোধহয় এই কঠোর লকডাউনে না খেতে পেয়ে মারা যাবেন না ।
তাই প্রত্যেক সংগঠন এবং ব্যক্তির উচিত নিজ নিজ উদ্যোগে দুঃস্থ অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো ।