নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে হিজড়াদের বাসা থেকে তারেক হোসেন (২৩) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, হিজড়ারা তারেককে পিটিয়ে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শহরের হাসপাতাল সড়কের পশ্চিম মাইজদী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত তারেক জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াপদা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা বলছে, তারেক দীর্ঘদিন ধরে হিজড়াদের সাথে একই বাসায় থাকত। শুক্রবার হিজড়ারা সবাই বাসা থেকে বের হয়ে যায়। সন্ধ্যায় তারা বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ পায়। পরে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তারেকের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

এদিকে তারেকের বড় ভাই আজগর হোসেন সাগর অভিযোগ করে বলেন, গত দেড় বছর আগে সোনালী নামে এক হিজড়া তারেককে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। এরপর থেকে তারা তারেককে আটকে রেখে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালায়। দীর্ঘ দেড় বছরে তারেককে একদিনের জন্য ছেড়ে দুইদিন পর আবার বাড়ি থেকে তাদের কাছে নিয়ে যায় হিজড়ারা। আজকের কোন একসময় তারা তারেককে পিটিয়ে হত্যা করে এখন আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি, ধারণা করা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে কোন কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে তারেক। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।