আপডেট: মে ৮, ২০২২
অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও নির্দেশ অমান্য করায় বরিশাল-ঢাকা নৌপথের কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের মাস্টার ও সুপারভাইজারকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই অপরাধে আরও তিনটি লঞ্চ থেকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (৭ মে) সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে এ জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম।
বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সন্ধ্যা ৭টায় কীর্তনখোলা-২ লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লঞ্চটিকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু মাস্টার লঞ্চটি ছেড়ে একটু পর আবার ঘাটে ফিরে আসে। এতে করে নৌ-বন্দরে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল।
তিনি জানান, পরে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ মাস্টার তোয়াঙ্গীর হোসেন ও সুপারভাইজার মো. শাহিনকে আটক করে বিআইডব্লিউটিএ’র কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। সেখানে মাস্টার ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধ প্রমাণিত হলে তাদেরকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে জরিমানা অর্থ আদায় করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টায় কীর্তনখোলা-২ লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
নৌ-বন্দরের এই কর্মকর্তা আরও জানান, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের অপরাধে ঢাকাগামী সুন্দরবন-১১ লঞ্চকে ১০ হাজার টাকা, পারাবাত-১০ কে ছয় হাজার এবং কুয়াকাটা লঞ্চকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের মাস্টারের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। সে অপরাধের সঙ্গে সুপারভাইজারও জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে তিনটি অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাও যাত্রীদের কথা চিন্তা করে মানবিক দিক বিবেচনায় তার কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়।’