আপডেট: মে ২৬, ২০২২
।
হিজলা প্রতিনিধি বরিশালের হিজলা উপজেলার হিজলা গৌরববি, মেমানিয়া হরিনাথপুর ও ধুলখোলা ইউনিয়নের কৃষকের প্রধান ফসল সয়াবিন।
এবছর সয়াবিনের বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু মাঠে যখন সয়াবিন পাকা আধাপাকা ঠিক সেই মুহূর্তে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে চোখের দেখা পাকা সয়াবিন।
এখন দিশেহারা সয়াবিন চাষিরা কিভাবে পরিশোধ করবে এনজিও সহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে উত্তোলনকৃত ঋণের টাকা।
সন্তানদের লেখাপড়া আর সংসার পরিচালনায় দিশেহারা ওই সয়াবিন চাষীরা।
হিজলা উপজেলা চরাঞ্চলের ওইসব এলাকা ঘুরে দেখা যায় অনেক জায়গায় পানি নিষ্কাশনের খালগুলো ভরাট করে মাছের ঘের সহ ঘরবাড়ি নির্মাণ দেখার কেউ নেই যে কারণে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার ক্ষতি হচ্ছে জলাবদ্ধতায় ডুবে যাওয়ার সয়াবিন চাষীদের।
উপজেলার গৌরবদী ইউনিয়নের বিশর গ্রামের আব্দুলসত্তার সহ একাধিক সয়াবিন চাষি জানান তাদের প্রধান ফসল সয়াবিন জলাবদ্ধতার কারণে অধিকাংশ ফসল এখন পানির নিচে পাশে নেই কোন জনপ্রতিনিধি আবার কেউ বলছে পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
হিজলা গৌরববি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলন বলেন এ বছর অতিমাত্রায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টির পানির কারণে অধিকাংশ সয়াবিন চাষীদের সয়াবিন এখন পানির নিচে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের পাশে থাকবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব আজাদ আল জনি বলেন এবছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে ছয় একর জমিতে সয়াবিন চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলন দেখে যখন সয়াবিন চাষীরা আনন্দে মুখরিত ঠিক সেই মুহুর্তে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলাবদ্ধতায় ডুবে যায় ফসলের মাঠ। তখনই কৃষি অফিস ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য মাঠে নেমেছে।