৭ সাংস্কৃতিক জোটের আন্দোলনের ঘোষণা

সাঈদ পান্থ
বরিশালে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ৪০ বছরের পুরাতন পঞ্চসিঁড়ি গ্রুপ থিয়েটার এর কার্যালয়। জেলা পুলিশ এই কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলার কারণে এখন খোলা আকাশের নিচে নাটকের মহড়া দিচ্ছে। এ দিকে নাট্য সংগঠনের কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামছে বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বরিশাল বিভাগীয় দক্ষিণাঞ্চল শিল্পী পরিষদ, নজরুল সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও আবৃত্তি সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। অবিলম্বে তাদের কার্যালয় মেরামত করে না দিলে শনিবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশ। এরপর একের পর এক আন্দোলন করা হবে। বুধবার রাতে অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ে ৭ সাংস্কৃতিক জোট এর যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলনের হুমকী দিয়েছেন। সভার সভাপতিত্ব করেন বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ এর সাবেক সভাপতি ও জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ বরিশালের সভাপতি কাজল ঘোষ। সভায় বক্তব্য রাখেন বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেবাষিশ চক্রবর্তী ও সাবেক সম্পাদক মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি মন্ডলির সদস্য শুভংকর চক্রবর্তী, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাসুদেব ঘোষ, বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের বরিশাল জেলা কমিটির সম্পাদক বিনয় ভূষন মন্ডল, বরিশাল বিভাগীয় দক্ষিণাঞ্চল শিল্পী পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান খোকন, নজরুল সাংস্কৃতিক জোট এর সম্পাদক শেখ নাসের জামাল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট বরিশালের সম্পাদক স্নেহাংশু বিশ্বাস ও আবৃত্তি সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলির সদস্য আজমল হোসেন লাবু ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মারিফ আহমেদ বাপ্পি।
জানা গেছে, পঞ্চসিঁড়ি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বিউটি রোডের গণপূর্ত বিভাগের পুরানো একতলা ভবনের একটি কক্ষে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। অভিযোগ উঠেছে গত ডিসেম্বরে জেলা পুলিশ ওই ভবন সংস্কারের নামে পঞ্চসিঁড়ি’র কক্ষটি ভেঙে ফেলে। আকস্মিক কক্ষ ভেঙে ফেলায় তাদের নাটকের ষড়ঞ্জামসহ অন্যান্য আসবাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জানা যায়, ১৯৮৩ সালে তখনকার জেলা প্রশাসক এম আজিজ আহম্মেদ পঞ্চসিঁড়ি গ্রুপ থিয়েটারের জন্য গণপূর্ত বিভাগের পুরানো ভবনের একটি কক্ষ বরাদ্দ দেন। সেই থেকে পঞ্চসিঁড়ি গ্রুপ থিয়েটার তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকা- এখানে পরিচালনা করে আসছে। ভবনের অন্য অংশে পুলিশ সদস্যরা থাকতো। তবে ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পরলে পুলিশ সদস্যরা এখান থেকে চলে যান। এরপরই কিছুদিন আগে ভবনের ছাদ ভাঙার কাজ শুরু করে পুলিশ বিভাগ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে, ভবনের ছাদ ভেঙে ফেলার পর রড, লোহার এঙ্গেলসহ সামনের পরিত্যক্ত ভবনের ইট পুলিশ বিক্রি করে দিয়েছে। এ নিয়ে গণপূর্ত বিভাগ ও জেলা পুলিশ বিভাগের সাথে বার বার আলোচনা করেও সমাধান হয়নি। ##