আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২৩
ইতালি প্রতিনিধি: রোম দূতাবাসের প্রধান ফটক ভাঙচুর এবং ডাস্টবিনে অগ্নি সংযোগের ঘটনার সাথে গত ১৬ই আগস্টের ভাঙচুরের ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান বলেছেন, ওই ঘটনার ইন্দ্রন দাতা হিসেবে সাংবাদিক লাবণ্য চৌধুরীর জড়িত থাকার প্রমাণ দূতাবাসের হাতে রয়েছে। যে দূতাবাসের জাতীয় পতাকা উড়ছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙ্গানো রয়েছে-সেই দূতাবাসে ভাঙচুর এবং লাথি মারার ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দোষীদের অবশ্যই আইনের মুখোমুখি করা হবে।
বৃহস্পতিবার রোম দূতাবাসের সভাকক্ষে প্রবাসী সাংবাদিকদের সম্মান দেয়া রাষ্ট্রদূতের ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনায় এই মন্তব্য করেন তিনি। সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে লাবণ্য চৌধুরীকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, আমাদের হাতে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। সেই দিনের তার সকল কর্মকান্ড এবং তার স্বামীর ভূমিকা আমরা মনিটর করেছি। লাবণ্য চৌধুরী ওই ঘটনার আগে ফেসবুকে লাইভ করেছেন, পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের উত্তেজিত করে পূর্ব পরিকল্পনা মতে দূতাবাসে হামলা করিয়েছেন। হামলার সময় তাকে কাউকে নিভৃত করার প্রমাণ আমরা পাইনি।
ওই ঘটনার সাথে সর্বশেষ দূতাবাসের প্রধান ফটোকে ভাঙচুর এবং বাইরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা তাও তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে রোমের একাধিক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, আমাদের জানামতে লাবণ্য চৌধুরী বগুড়ার একটি কলেজে পড়াশোনার সময় শিবিরের সাথে জড়িত ছিলেন। রাজধানী রোমে আসার পরও জামাত-শিবিরের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে বলে আমরা জেনেছি ।সরকারের ভাবমূর্তি বিনস্ট করতে কারো এজেন্ট হয়ে কাজ করছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখা উচিত। দূতাবাসে হামলার সাথে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে অভিযুক্ত লাবণ্য চৌধুরীকে ৭১ টিভি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান এই রোমের সাংবাদিকবৃন্দ।