আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
আজ শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকার পল্টনস্থ কার্যালয়ের নিচতলায় মহান শিক্ষা দিবস এবং সাম্প্রদায়িক, ধর্মীয় মৌলবাদী ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র হামলায় নিহত ছাত্র মৈত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালিন ছাত্রনেতা জুবায়ের চৌধুরী রীমুর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে “আমরা পৌছাব তোমাদের মুক্তির বন্দরে” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটি উদ্যোগে উক্ত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল। সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েলের সঞ্চালনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন। রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি সাদাকাত হোসেন খান বাবুল, ছাত্র মৈত্রীর সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন নাহিদ প্রমুখ।
কমরেড রাশেদ খান মেনন তার বক্তব্যে বলেন, যে দাবী নিয়ে আমরা ’৬২-র শিক্ষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধ করেছি। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরেও সেই দাবীগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। শিক্ষাকে এখনো আমরা একমূখী বিজ্ঞানভিত্তিক করতে পারিনি। বরং শিক্ষা পরিনত হয়েছে পণ্যে। আজকের ছাত্রদেরকেই এ থেকে মুক্তির পথের নয়া সূচনা করতে হবে। শিক্ষানীতি ২০১০ কেও যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারতাম, যদি শিক্ষাকে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত করতে পারতাম, যদি শতভাগ মানুষের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে পারতাম তাহলে দেশ আরো এগিয়ে যেত।
আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী এবং ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ পুষ্পার্ঘ্য অর্পনের মাধ্যমে ’৬২ র শিক্ষা আন্দোলনের সকল শহীদ এবং শহীদ জুবায়ের চৌধুরী রীমুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায়। ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সহসাধারন সম্পাদক মনোজ বাড়ৈ, মাহাবুদ রানা তরুন, যুব মেত্রী কেন্দ্রীয় নেতা মানিক হাওলাদারসহ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অতুলন দাস আলো, সহ সাধারন সম্পাদক শাফিউর রহমান সজিব, রাজনৈতিক, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ইয়াতুন্নেসা রুমা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অদৃতি আদৃতা সৃষ্টি, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় সদস্য সিরাজুল ইসলাম খান শিশিরসহ ঢাকা মহানগর ছাত্র মৈত্রীর নেতৃবৃন্দ।