আপডেট: মে ৭, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক-
বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী ইউনিয়ন সংলগ্ন বাহেরচড়ে মৎস্য ঘের ও হাঁসের খামারে হামলা-ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় প্রকল্প মালিক ব্যবসায়ী নাছির উদ্দীন সালমান বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী নাছির উদ্দীন সালমান বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদিশ গ্রাম সংলগ্ন বাহেরচড়ে ১৪ জন ভূমিহীনের লীজ নেয়া ১৬ একর জমি ভাড়ায় নিয়ে এলাকার বেকার যুবকদের স্বামলম্বী করার জন্য ওই জমিতে একটি মৎস্য ঘের ও হাঁসের হামার প্রকল্প করেন। উক্ত জমি ভূমিহীনরা পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলা থেকে লীজ নিয়েছিলেন। বাকেরগঞ্জের কলসকাঠীর দক্ষিণ সাদিশ গ্রামের কতিপয় ভূমিদস্যুর ওই জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরলে তারা জমি জবরদখর করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তারই জের ধরে শুক্রবার সকাল ১১ টার সময় শামীম শরীফ, এনামুল খান, জসিম হাওলাদার, আলিম খান, তুহিন হাওলাদার, সাদ্দাম মুন্সী, নয়ন মুন্সী, নাছির হাওলাদার, আবু মুন্সী, সত্তার মৃধাসহ ৪০-৫০ জন লাঠি ও দা, ছেনা নিয়ে হাঁসের খামারে ও থাকার ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। হামলাকারীরা পুনঃরায় বিকেল ৪টায় সংঘবদ্ধ হয়ে দ্বিতীয়বার হামলা করে ভাংচুর করা হাঁসের খামারে অগ্নিসংযোগ করে। হামলাকারীর এসময় হাতের দুই আঙ্গুল দিয়ে ভি চিহৃ দেখিয়ে ছবিও তোলে।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী নাছির উদ্দীন সালমান প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন। এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান, শামীম শরীফ একজন চিহৃিত ভূমিদস্যু। সে গরীব ভূমিহীনদের লিজ নেয়া জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ট্রলারযোগে বিক্রির উদ্দ্যেশে প্রতিনিয়ত পাচার করছে। কিছুদিন আগে অবৈধভাবে মাটি কেটে পাচার করার সময় দুমকি থানা পুলিশ তার ৪ টি ট্রলার আটক করে। শামীম শরীফ টাকা দিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নামেমাত্র জরিমানা করিয়ে ছারিয়ে নিয়ে আসে। এলাকাবাসী ভূমিদস্যু শামীমের মাটি কাটা বন্ধেরও দাবি জানান।