আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২১
ডেস্ক রিপোর্ট:
এখন সংক্রমণের সবচেয়ে ভয়াবহ সময় পার করছে দেশ। গত ৫ দিনেই মারা গেছেন এক হাজারের বেশি। শনাক্ত ৬২ হাজার রোগী। সংক্রমণ না কমলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তীব্র শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে সিলিন্ডারের অক্সিজেনে। করোনা ওয়ার্ডে ঠাই হয়নি, তাই বারান্দায় বিছানা পেতে চলছে চিকিৎসা। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ২০০ বেডের করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি প্রায় ৩০০ জন। একই অবস্থা দেশের কমপক্ষে ১৫টি হাসপাতালে। বেডের চেয়েও অতিরিক্ত রোগীকে দিতে হচ্ছে চিকিৎসা।
জুন থেকে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে চাপ বেড়েছে রোগীর। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হয় দেশে। ৫০০ দিনে এগারো লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। প্রথম এক লাখ রোগী হতে সময় লেগেছে ৫৮ দিন আর সবশেষ এক লাখ রোগী হয়েছে মাত্র ৯ দিনে। এখন প্রতি মিনিটে রোগী শনাক্ত হচ্ছে ৮ জন করে।
এরইমধ্যে করোনায় মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১৭ হাজার। জুনে প্রাণহানি ছিল দুই হাজার ২৪ জনের। অথচ জুলাইয়ের ১৬ দিনেই সেই সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। করোনায় প্রথম এক হাজার মৃত্যু ৮১ দিনে হলেও, সবশেষ এক হাজার মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৫ দিনে।
দেশে করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেন, আইসিইউ, ওষুধসহ নানা সুবিধা যুক্ত হয়েছে। ভাইরাস শনাক্তে ল্যাব এক থেকে ৬২৭টি হয়েছে। কিন্তু এখন যেভাবে রোগী বাড়ছে তাতে বিপর্যয়ের শঙ্কা বাড়ছে। রাজধানীর ১৬টি হাসপাতালের ৯টিতে আইসিইউ ফাঁকা নেই একটিও। একই অবস্থা ৮টি বেসরকারি হাসপাতালেও। সংক্রমণ না কমলে দ্রুতই দেখা দেবে সাধারণ বেডের সংকট।