আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২২
উজিরপুর প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনের সংক্রমণ সামনের দিকে অনেক বাড়তে শুরু করবে এমন আশংকা থেকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে সারাদেশের ন্যায় বরিশালের উজিরপুরে ২৬ হাজার ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী সকল শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার কাজ চালু করা হয়েছিল। ২২ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারী পর্যন্ত ১১ হাজার তিনশত শিক্ষার্থীদের ১ম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্নকর্তা এবিএম জাহিদুল ইসলাম। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন দুই থেকে দের হাজার শিক্ষার্থীরা ফাইজার টিকা নেওয়ার জন্য উপজেলার ডাকবাংলাতে আসে। টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের বিশৃঙ্খলা করতেও দেখা গেছে এবং স্বাস্থ্য বিধি না মেনে একসাথে জড়ো হয়ে টিকা নেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থীরা আবার টিকা না পেয়ে বাড়ী ফিরে গেছে। পুনরায় পরেরদিন কষ্ট করে আসতে হয় টিকা নিতে। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে উজিরপুরে একটি স্থানকে নির্ধারণ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কেন্দ্র। একটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের সামলা দিতে বেশ ভোগ পোহাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের। টিকা নিতে আসা ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী তাহসিন ও ৮ম শ্রেনির শিক্ষার্থী রাফসান, রুমি জানান, স্যাররা আমাদের টিকা নিতে ডাকবাংলায় আসতে বলছে তাই আইছি। ঠ্যালাঠ্যালি কইরা কষ্টে টিকা দিছি। সাদিয়া নামের কালিহাতা থেকে আসা এক শিক্ষার্থী জানান, কষ্ট করে টিকা দিতে আইলাম এখন দেখি টিকা দেওয়া শেষ আজকে নাকি আর নাই তাই কাল আবার আইতে হইবে কতদূর দিয়া আসি কষ্ট হয় অনেক আসতে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্নকর্তা এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রথম ডোজ টিকা নেয়া না থাকলে শিক্ষার্থীরা স্বশরীরে ক্লাসে যেতে পারবে না জানানো হলে তড়িঘড়ি করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু করেছি । প্রথমে এইচএসসি শিক্ষার্থীরা বরিশাল গিয়ে টিকা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে উজিরপুরে ডাকবাংলোতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে ফাইজার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি কেন্দ্রে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভিতর কিছুটা বিশৃঙ্খলা হতে পারে তবে এই মাসের ভিতর যথাসম্ভব সকল শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া সম্পন্ন করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী জানান, উপজেলা প্রশাসন শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য একটি কক্ষ দেওয়ায় প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের সামালদিতে স্বাস্থ্য কর্মীদের বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রতিদিন যে চাহিদা দেয় সেই অনুযায়ী টিকা আনা হয় বরিশাল থেকে। তারপরও শিক্ষার্থীরা টিকা না পেলে আমরা কি করতে পারি বলেন? আমরা চাহিদার বাহিরা টিকা সংগ্রহ করতে পারি না। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ১৫ জানুয়ারির ভিতর সকল শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। পুনরায় বাংলাদেশ সরকার সময় কিছুটা শিথিল করে ৩১ জানুয়ারী এর ভিতর শেষ সময় নির্ধারন করে দেয়।