আপডেট: ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফ হোসেন নয়ন (৩০) নামের এক তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তার নয়ন শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজের ৪১ তম ব্যাচের ছাত্র ছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে তাকে শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে জরুরি ভিত্তিতে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য এম্বুলেন্স যাওয়ার পথে কোন রকম অক্সিজেন মাক্স দেওয়া হয়নি। এরপরে এম্বুলেন্সে উঠানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। ডাক্তার নয়নের জরুরি ভিত্তিতে ভেন্টিলেশনের দেওয়ার দরকার ছিল।
অভিযোগ উঠেছে, বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভেন্টিলেটর অকার্যকর থাকায় একজন তরুণ ডাক্তারের অকাল মৃত্যু হয়েছে। অক্সিজেন মাস্ক না পরিয়ে এম্বুলেন্সে উঠানোর বিষয়টি চরম অবহেলাহীনতার কারণ। আর এ কারনেই তার অকাল মৃত্যু হয়। এক্ষেত্রে সাধারন মানুষের মাঝে চিকিৎসার মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, মন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই নবীন চিকিৎসক ডাঃ মারুফ হোসেন ও তার পরিবারের এর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজের একজন সাবেক ছাত্র হিসেবে গর্ববোধ করি। কিন্তু আজ থেকে আমাদের হাসপাতাল প্রসাশনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিবর্গকে ঘৃণা করি। আমাদের মেডিকেলে আইসিইউতে ১০টা বেড আছে। ১০টা বেডের মধ্যে ৯টারই ভেন্টিল্যাশন নষ্ট। ভেন্টিল্যাশনের অভাবেই আমার নয়ন চলে গেলো। আমরা এর বিচার চাই।
মঙ্গলবার আছর বাদ শেরেই বাংলা মেডিকেলে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত জানাজায় সহপাঠী ও চিকিৎসকসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উলেখ্য, যে বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল হাসপাতাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ডাক্তার নয়ন বরিশাল ডায়াবেটিকস হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
ডা. মারুফ হোসাইন ২০০৬ সালে ভোলা থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ২০০৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
২০০৯-১০ সেশনে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন । ২০১৬ এর জুলাইয়ে এমবিবিএস শেষ করে একই মেডিকেলে ইন্টার্ন করেন। বর্তমানে বরিশাল হেমায়েত উদ্দিন ডায়াবেটিকস হাসপাতালে ইনডোর মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার উত্তর দিঘলদী তে,তিনি ঐ
গ্রামের মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে।