আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২২
মোঃ ইসমাইল ভোলা।।
ভোলায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মা ছেলেকে পিটিয়ে জখম, শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও সোনার অলঙ্কার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি মাকসুদুর রহমান গংদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে ভোলা পৌরসভার ০৬ নম্বর ওয়ার্ড জামিরালতা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাওলাদার বাড়ির রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও ছেলেদের উপর জমিজমা ও বাড়ির পাশের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি মাকসুদুর রহমান তার ছেলে সিহাব, স্ত্রী লিপি বেগম ও মফিজুল ইসলামরা দেশীয় অস্র নিয়ে হামলা চালায় এতে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বিধি রহিমা(৪৫) ও বড় ছেলে ফুটবলার জহিরুল ইসলাম রাজিব(২৮) গুরুত্ব জখম হলে স্থানীয়রা তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। তারা ভোলা সদর হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ভোগদখলীয় জমিতে আমার প্রতিবেশি মাকসুদুর রহমান
জোর পূর্বক ভোগ দখলের উদ্দেশ্য নানান ভাবে পায়তারা করে আসছে। এমনকি আমার এই জমি দখলের উদ্দেশ্য বিগত দিনে একাধিকবার বিরোধ করে এবং আমাকে মারধরও করে। এই জমি জমার বিরোধ নিয়া স্থানীয় ভাবে একাধিকবার মিমাংসা হইলেও তারা মানে নারাজ। আজ সকাল ৭ টার দিকে মাকসুদ গংরা আমার বসত ঘরের পাশে আমার রোপনকৃত গাছ কাটা শুরু করে। তাদের আমার স্ত্রী বাধা দিলে তারা আমার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নানান ভাবে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে বিকাল ০৫ টার দিকে তারা পূনরায় আমার রোপনকৃত গাছ কেটে আমার বসত ঘরের উপরে ফেলে বারান্দার চাল ভেঙে ফেলে। তখন আমি ও আমার স্ত্রী তাদের প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রীকে মারধর করে। এক পর্যায়ে মাকসুদ এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার স্ত্রীর উপর এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এসময় মাকসুদ এর চাচা মফিজুল আমার স্ত্রী কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
এসময় আমার বড় ছেলে তার মাকে বাচানোর জন্য গেলে মাকসুদের ছেলে সিহাব এর হাতে লোহার রড দিয়া আমার ছেলের মাথায় বারি মারিয়া গুরুতর জখম করে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে আমার ছোট ছেলে ছুটে এলে সকলে এক যোগে তাকেও এলোপাথারীভাবে মারতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, এসময় তারা আমার স্ত্রীর গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের ৫০ হাজার টাকা মূল্যর স্বর্ণের চেইন ও আমার ছোট ছেলে হামলার দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করার চেষ্টা করলে তারা জোর পূর্বক ভাবে নিয়ে যায়। এবং আমার বসত ঘরে ডুকে ভাংচুর করে। এসময় আমাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা গুরুত্ব আহত অবস্থায় আমার স্ত্রী ও ছেলেদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় মামলার কথা জানতে চাইলে জমির মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন ভোলা সদর মডেল থানায় মামলার প্রস্ততি চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাকসুদুর রহমানের সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আর ভোলা সদর মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আরমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।