আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২০
করোনাভাইরাস ইতোমধ্যেই মহামারী আকারে রূপ নিয়েছে।
চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস ১৩৩টি দেশে ছড়িয়েছে।
১৮ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বে ১,৯৯,১৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এতে মৃত্যু হয়েছে ৭,৯৯৪ জনের।
বাংলাদেশেও একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর।
বিপদসঙ্কুল এমন পরিবেশে ইতোমধ্যে সমাবেশ, ভিড়, ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আইইডিসিআরসহ দেশের চিকিৎসকরাও একাধিক মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সমুদ্রসৈকতে না যেতে নির্দেশ দিয়েছে।
চিকিৎসকরা মনে করেন, বাইরে যেতে চাইলেও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
এ ক্ষেত্রে যেকোনো জায়গায় রেলিং, দরজার নব, গেট, হাতল, কম্পিউটারের মাউস, টাকা, পাসপোর্ট ইত্যাদি স্পর্শ করার পরপরই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
তবে সব জায়গায় সাবান-পানি পাওয়া যায় না।
তাই ব্যাগে বা পকেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন।
চোখ, নাক ও মুখে হাত বা আঙুল লাগানো থেকে বিরত থাকুন।
এমনকি জ্বর-কাশি থাকলে ভ্রমণ বাতিলের চেষ্টা করতে হবে।
ভ্রমণরত অবস্থায় এ দুই উপসর্গের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
প্রবাসী হলে বা অন্য আক্রান্ত এলাকায় সম্প্রতি ভ্রমণ করে থাকলে তা চিকিৎসককে জানাতে হবে।
ভ্রমণের কোনো কাজে সারিতে দাঁড়াতে হলে নিজের সুরক্ষার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
ভ্রমণ করলেও অন্তত ১৪ দিন পর্যন্ত সতর্ক থাকুন।
এ সময় জনসমাগমে না যাওয়াই ভালো।
বাসায় আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে চেষ্টা করুন।
কারণ আপনার একটু অসতর্কতাই অন্যের বিপদের কারণ হতে পারে।
তাই যতটা সম্ভব সবধরনের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
পরিস্থিতি অনুকূলে এলে যত ইচ্ছা ভ্রমণ করতে পারবেন।
আপাতত সংযত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।