আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২০
কবে বাজারে আসবে করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন, করোনা কি সত্যি বেশি তাপমাত্রায় কম ক্ষতিকারক?
করোনা নিয়ে মানুষের মনে আসা নানান প্রশ্নের জবাব দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান।
প্রশ্ন করলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
করোনার জেরে ঘরবন্দি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
তবে নিজের সামাজিক দায়িত্ব পালনে অবিচল দেশি গার্ল খ্যত বলিউডের এই অভিনেত্রী।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মহামারী করোনা নিয়ে অনুরাগীদের সচেতন করার সব রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন পিগি চপস।
মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনারেল ডিরেক্টর ডঃ টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়াস এবং সংস্থার Covid-19 বিষয়ক টেকনিক্যাল প্রধানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রিয়াঙ্কা।
যেখানে করোনা নিয়ে মানুষের মনে যে সব প্রশ্ন জাগছে সেগুলোর উত্তর জানার চেষ্টা করলেন মিসেস জোনাস।
সেই পুরো আলোচনা ইনস্টাগ্রামে তুলে ধরেন অভিনেত্রী।
ক্যাপশনে লেখেন, Covid-19 নিয়ে নানা জায়গায় অনেক তথ্য ঘোরাফেরা করছে এবং এখন সেগুলোর বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় কর্মরত আমার দুই বন্ধ, দুজন চিকিত্সক যাঁরা এই সম্পর্কিত কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তাঁরা বিশেষজ্ঞ মত জানালেন।
দয়া করে আমার ইনস্টাগ্রাম লাইভটি দেখুন একটু সময় নিয়ে।
ড. টেড্রোস(বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনারেল ডিরেক্টর) এবং ড. মারিয়া ভ্যান কেরখোভ (WHO-র Covid-19 বিষয়ক টেকনিক্যাল প্রধান) আপনাদের পাঠানো কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
অভিনেত্রী আরও যোগ করেন,এটা আমাদের কর্তব্য যাতে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুদান দিয়ে সাহায্য করি এবং এই কঠিন সময়ে সকলের সঙ্গে সহমর্মী হয়ে উঠি যাতে এই প্রকোপ দূর হয়ে যায়।
দয়া করে নিজেদের বন্ধু ও পরিবারের লোকজনকে ট্যাগ করুন, যাতে তাঁরা তাঁদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায়।
ধন্যবাদ ড. টেড্রোস এবং ড. মারিয়াকে তাদের মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা সময় বের করার জন্য।
দয়া করে সবাই সচেতন হোন, বাড়িতে থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন।
প্রিয়াঙ্কার এই লাইভ ভিডিও কনফারেন্সে প্রথম প্রশ্নটি করেন তাঁর স্বামী নিক জোনাস।
যেখানে নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিন্তিত নিক বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চান-যেহেতু নিক নিজে ডায়াবেটিসের রোগী এবং প্রিয়াঙ্কার অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাই তাঁদের পক্ষে কী এই ভাইরাস আরও মারাত্মক হতে পারে? জবাবে ড. মারিয়া জানান, ‘হ্যাঁ এক্কেবারেই।
আপনারা একদম ঠিক কাজ করছেন বাড়িতে থেকে।
তবে তার মানে এই নয় যে যাদের শরীরে আগে থেকে কোনও রোগ নেই তাদের কোনও ক্ষতি করবে না করোনা।
তরুণ প্রজন্ম কোনওভাবেই এটা থেকে সুরক্ষিত নয়।
সতর্কতা সবাইকে নিতে হবে’।
প্রিয়াঙ্কা জানতে চান, এই ভাইরাস বায়ুবাহিত কিনা?
জবাবে ড. মারিয়া জানান,না এই ভাইরাস বায়ুবাহিত নয়।
কিন্তু এই ভাইরাস সংক্রমিত বস্তুর মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
যার অর্থ একটি সারফেসে দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারে এই ভাইরাসটি।
আবার এর মানে এটা নয় যে কোনও সংক্রমিত সারফেস ছুঁলেই আপনি করোনায় সংক্রমিত হয়ে যাবেন।
সেই কারণে সব সময় ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।
হাইজিন প্রোটোকল মেনে চলতে হবে’।
বেশি তাপমাত্রায় কী এই ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে না?
প্রিয়াঙ্কার প্রশ্নের জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানান, বিভিন্ন ধরণের জলবায়ুতে প্রভাব বিস্তার করছে করোনা।
তাই এখন এই বিষয়ে কোনও উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।
এই রোগের ভ্যাকসিন কবে থেকে বাজারে আসবে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাফ বক্তব্য কাজ চলছে কমপক্ষে ১২-১৪ মাস সময় লাগবে এই কাজে।