আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২০
লেখক, রাজিব হাসান
পঠশালার ৪০১ নং রুম রাত প্রায় দুই টা তবুও বিরাম পাচ্ছে না ল্যাপটপের বাটন গুলা সকাল থেকেই থেমে থেমে চলছে।
জাগনারীর নির্বাহী দয়া বসত রুমখানা ব্যাবহারের অনুমতি দিয়েছে বলে পাঁচ দিন ধরে মাথার উপর ছাদখানা। একটি ছেলে সন্তান বয়স ১ বছর ৪ মাস, দশমিনিট এর দুরত্বে থাকলেও দেখা নাই পাঁচদিন। এমন একটা সংঙ্কট ময় আবস্থা, করোনা ভাইরাস এর প্রভাব বাড়ছে দেশ লকডাউন, তবুও সারাদিন কোন না কোন কাজে বাইরে যেতেই হচ্ছে, তাই ছেলের কাছে না যাওয়া উত্তম, নিরুপায় মানুষটির ভিডিও কল ছেলেকে দেখার একমাত্র উপায়।
চারদিকে হাহাকার, করোনা পরিস্থিতি দিন দিন বিগরে যাচ্ছে দরিদ্র সিমার নিচের লোকজনদের আবস্থা ভালো না, দিনমজুরদের ঘরে খাবার শেষ প্রায়। কিছু একটা করা দরকার কী করা যায়? যোগাযোগ করলো আঞ্চলিক সংঙ্গঠন গুলোর সাথে, তৈরী হল একটা নেটওয়ার্ক CYN (কোষ্ট্রাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক) যেখানে বর্তমানে বরগুনায় ৩৫ টা সংগঠন এক ব্যানারে ঝাপিয়ে পরেছে করোনা মোকাবেলায়। করোনায় সর্বপ্রথম রেসপন্স করা সফল নেটওয়ার্ক হিসাবে সমাদৃত এই নেটওয়ার্ক একের পর এক ধামাকা দিয়ে যাচ্ছে বরগুনা জনসাধারণকে।
উদ্যোক্তা এই ছেলেটি বরগুনার যুবগদের কাছে
“এন জি ও” কার্যক্রমকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে একটু সাবলিন ভাবে। শুধু যে চাল আর ছাগল দান করাই প্রাধান কাজ না এইটা বরগুনা বাসি এখন অবগত। ছেলেটির পড়াশুনা ঢাকার নামি-দামি একটা ইউনিভার্সিটিতে হলেও অহংকারী নয় মোটেও। রাজধানীর ভালো চাকুরী ছেড়ে। অজপাড়াগাঁয়ে পড়ে থাকা ছেলেটির কাছে জানতে চেয়েছিলাম!”এত ঝুকি নিয়ে বউবাচ্চা ছেড়ে কেন আপনিই?”
উত্তর ছিলো “ছোটভাই ৭১ এ কিন্তু যুবকরাই ঘর ছেড়েছিল আগে, আর আমরা না নামলে কী ভাবে।” এত চাপনিয়েও সবলিল ভাবে কাজকরা উদ্দোক্তা এই ছেলেটি আর কেউ নয় বরগুনার অতি পরিচিত জাগনারী ডিরেক্টর কমিউনিকেশন হিসাবে কর্মরত “ডিউক ইভনে আমিন” একজন যুব যোদ্ধা একজন উদ্দোক্তা, একজন ভালমানুষ আশাকরি আলোকিত করবেন আপনাদের চারপাশ, বেচেথাকুন মানুষের ভালবাসায় বেচেথাকুন ভাল কাজগুলার মধ্যে।