বরিশালে কীর্তনখোলাসহ জেলার ২৩টি নদীর দু’পাড় দখল করে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মান করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি, জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতারা।

বরিশাল নগরী ঘিরে রাখা কীর্তনখোলা নদীর নগরীর প্রান্তে আশির দশকে ২৩ একর জমি নিয়ে জেগে ওঠে রসুলপুর চর। যে দল ক্ষমতায়, সে দলের প্রভাবশালী নেতাকর্মী ও সমর্থক চর সংলগ্ন নদী দখল করে সৃষ্টি করে কৃত্রিম চর। তাদের সাথে রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়ধারী প্রভাবশালী নেতারা। ২৩ একর চর এখন ৫০ একরে উন্নীত হয়েছে। আর সেখানে বহুতল ভবন থেকে শুরু করে মাছের ঘের, মুরগীর ফার্ম, বালুর ব্যবসা, ডকইয়ার্ড এবং ছোট ছোট ঘর করে তা ভাড়া দেয়া হয়েছে। এমনকি প্লট আকারে বিক্রি করা হচ্ছে এই জমি। কীর্তনখোলা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে জেগে ওঠা মোহাম্মদপুর চর, দপদপিয়ার চর, কর্ণকাঠী চর, পলাশপুর চর, খোন্নারের চর এবং চর বাড়িয়ার চর একইভাবে বৃদ্ধি করা হয়। খোন্নারের চরে রয়েছে দু’টি ইটভাটা। প্রশাসন কঠোর না থাকায় চর ছাড়াও নদী তীর দখল করে নির্মিত হচ্ছে পাকা স্থাপনা।