২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

বরিশালকে বিখ্যাত করেছেন যারা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

প্রাচ্যের ভেনিস নামে পরিচিত বরিশাল। একটি অন্যতম সুন্দর শহর। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরের পুরাতন নাম চন্দ্রদ্বীপ। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বৃহত্তর বরিশাল। বরিশালে একটি নদীবন্দর রয়েছে যেটি দেশের অন্যতম প্রাচীন, দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর।

বরিশাল বহু বিখ্যাত লোকের জন্মস্থান। এ কে ফজলুল হক, বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের মতো অনেক লোক জন্মেছে বরিশালে। আজ পরিচিত হবো এমনই কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাথে।

এ কে ফজলুল হক

রাজনীতিবিদ। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি কুটনীতিক হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের কাছে‌‌‌ ‘শেরেবাংলা’ নামে পরিচিত।

বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর ১৯৪৯ সালে বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বরিশালের ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হাবিবুর রহমান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার ছিলেন। শৈশব থেকেই দুঃসাহসী হিসেবে খ্যাত ছিলেন।

জীবনানন্দ দাশ

জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) বিশ শতকের অন্যতম প্রধান আধুনিক বাংলা কবি। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃৎদের মধ্যে অগ্রগণ্য। মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ধাপে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম কবিতে পরিণত হয়েছেন।

কুসুমকুমারী দাশ

কুসুমকুমারী দাশ একজন বাঙালি মহিলা কবি। কবিতাপ্রেমী বাঙালির কাছে তার জ্যেষ্ঠপুত্রের নামটি নিবিড়, নির্জন ও নস্টালজিক এক কবিতার মতো। তিনি কবি জীবনানন্দ দাশ। কবি বলেন, ‘…মার মুখের ভাষা কি রকম প্রাণক্ষরা ছিল, কত লোকগাথা ও প্রবাসের যথোচিত সংমিশ্রণে তীর্যক ও উজ্জ্বল হয়ে উঠত, ….তা শুনেছি, বুঝেছি।’ তার রচিত আদর্শ ছেলে, যার প্রথম চরণ ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’, বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কবি কুসুমকুমারী দাশ বরিশাল শহরে ২১ পৌষ ১২৮৯ বঙ্গাব্দে এক বিদ্যানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

অশ্বিনীকুমার দত্ত

১৮৫৬ সালে বরিশালের গৌরনদীতে জন্ম এই মনীষীর। তিনি ছিলেন রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবী। বরিশাল মিউনিসিপ্যালিটিতে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর পিতার নামে ব্রজমোহন কলেজ স্থাপন করেন।

সুফিয়া কামাল

সুফিয়া কামালের জন্ম জুন ২০, ১৯১১, মৃত্যু নভেম্বর ২০, ১৯৯৯। বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা কবি, লেখক ও নারীবাদী। স্বাধীন বাংলাদেশে নারীজাগরণ আর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে গেছেন। ১৯২৬ সালে তার প্রথম কবিতা বাসন্তী সেসময়ের প্রভাবশালী সাময়িকী সওগাতে প্রকাশিত হয়।

আবদুর রব সেরনিয়াবত

আবদুর রব সেরনিয়াবত ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরাইল গ্রামে। বরিশালের বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আরম্ভ হয় গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে (১৯৫৬-১৯৫৭)। পরবর্তী সময়ে তিনি ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আবদুর রব সেরনিয়াবত ১৯৬৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনে গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ও মুজিবনগর সরকার গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

আরজ আলী মাতুব্বর

আরজ আলী মাতুব্বর (১৯০১-১৯৮৬) স্ব-শিক্ষিত দার্শনিক, চিন্তাবিদ এবং লেখক। তার জন্ম বরিশাল শহর সংলগ্ন লামচরি গ্রামে। বিদ্যানুরাগী ও দরিদ্র এই মানুষটি নিজ গ্রাম লামচরিতে আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপন করেন। জগত ও জীবন সম্পর্কে নানামুখী জিজ্ঞাসা তার লেখায় উঠে এসেছে যা থেকে তার প্রজ্ঞা, মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। তার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে সত্যের সন্ধান ও সৃষ্টি রহস্য উল্লেখযোগ্য।

বিজয় গুপ্ত

মনসাসঙ্গলের এই কবি পঞ্চদশ শতকে বরিশালের অদূরে ফুলশ্রী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মঙ্গলকাব্যের অন্যতম প্রাচীন কবি। মনসাসঙ্গল কাব্যের তিনি আদি কবি হিসেবে স্বীকৃত।

কামিনী রায়

কামিনী রায়ের জন্ম পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের) বাকেরগঞ্জের বাসণ্ডা গ্রামে (বর্তমানে যা বরিশাল জেলার অংশ)। তার পিতা চন্ডীচরণ সেন একজন ব্রাহ্মধর্মাবলম্বী, বিচারক ও ঐতিহাসিক লেখক ছিলেন। ১৯৭০ খ্রীস্টাব্দে চণ্ডীচরণ ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা লাভ করেন। পরের বছর তার স্ত্রী-কন্যাও কলকাতায় তার কাছে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন। তার লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: আলো ও ছায়া (১৮৮৯), নির্মাল্য (১৮৯১), পৌরাণিকী (১৮৯৭), মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩)।

সরদার ফজলুল করিম

সরদার ফজলুল করিম (জন্ম: ১ মে, ১৯২৫) বাংলাদেশের বিশিষ্ট দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, প্রবন্ধকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে তার সাম্যবাদী বামপন্থী সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত থাকার পর্যায়ে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক নিগৃহীত হন। রাজবন্দী হিসেবে দীর্ঘ ১১ বছর বিভিন্ন পর্যায়ে কারাজীবন যাপন করেন। জেলে থাকা অবস্থাতেই ১৯৫৪ সনে তিনি পাকিস্তান সংবিধান সভার সদস্য হিসেবে কাজ করেন। পরে ১৯৬৩ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমীর সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন।

আলতাফ মাহমুদ

আলতাফ মাহমুদ একজন বাংলাদেশি সুরকার, সাংস্কৃতিক কর্মী ও স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একজন ভাষা সৈনিক ছিলেন এবং ২১শে ফেব্রুয়ারির শহীদ দিবসে গাওয়া ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটির বর্তমান সুরটিও তারই করা। এই গানের সুরকার হিসেবেই তিনি সমধিক পরিচিত হয়ে আছেন। ১৯৫০ সালের দিকে তিনি ভাষা আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় গণসঙ্গীত গাইতেন। গান গাওয়ার মাধ্যমে মাহমুদ এই আন্দোলনকে সর্বদাই সমর্থন জুগিয়েছেন।

মেজর জলিল

মেজর জলিল, মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক। তার সঙ্গী ১৬ জনের সবাই নামকরা মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ১৭ ডিসেম্বর খুলনায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিলো এদের হাতেই। মিত্রবাহিনীর সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক জেনারেল দলবীর সিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে ছিলেন মেজর জলিল।

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

জন্ম ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪, মৃত্যু ১৯ মার্চ, ২০০১। বাংলাদেশের একজন কবি যিনি পঞ্চাশ দশকের সঙ্গে চিহ্নিত। তার পুরো নাম আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ খান। বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জের বাহেরচরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আব্দুল জব্বার খান পাকিস্তানের আইন পরিষদের স্পিকার ছিলেন। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক, ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ হতে এমএ পাস করেন। তার দুটি দীর্ঘ কবিতা ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’ এবং ‘বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা’ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারে অভূতপূর্ব সংযোজন। তিনি সারাজীবন উচ্চপদস্থ আমলার দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮০-র দশকে তিনি বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

আবদুল গাফফার চৌধুরী

আবদুল গাফফার চৌধুরী একজন সুপরিচিত বাংলাদেশী গ্রন্থকার, কলাম লেখক। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো-এর রচয়িতা। তিনি বরিশাল জেলার এক জলবেষ্টিত গ্রাম উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

এ-ছাড়াও এ জেলায় জন্মগ্রহণকারী অন্যান্য প্রখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন :
আগা বাকের
বি ডি হাবিবুল্লাহ
আবদুল জব্বার
সুরকার আবদুল লতিফ
কবি আসাদ চৌধুরী
কবি মুকুন্দ দাস
মিঠুন চক্রবর্তী
হানিফ সংকেত
আবদুর রহমান বিশ্বাস
ড. কামাল হোসেন
মনোরমা বসু
কবি মোজাম্মেল হক
প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাস
বিচারপতি জগন্নাথ পারে
অভিনেতা রাজিব
অভিনেতা নাসির খান
অভিনেতা গোলাম মোস্তফা
বিপ্লবী নেতা নির্মল সেন
কলামিস্ট সাদেক খান
রাজনীতিবীদ বেগম সেলিমা রহমান
রাজনীতিবীদ এনায়েত উল্লাহ খান
মেজর এম এ জলিল
বিপ্লবী দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ
চারণ কবি মুকুন্দ দাস
অশ্বিনীকুমার দত্ত
অমৃত লাল দে
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
রাজনীতিবিদ শরত্চন্দ্র গুহ
শিক্ষাবিদ কালীচন্দ্র ঘোষ
চারুশিল্পী বলহরি
কবি সুফিয়া কামাল
সৈয়দ হাতেম আলী
খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দিন খান
বৃটিশ বিরোধী কৃষক নেতা ও শহীদ রহিমউল্লাহ
কবি হুমায়ূন কবির
সশস্ত্র বৃটিশ বিরোধী বিপ্লবী বলখী শাহ
জারী সম্রাট আবদুল গনি বয়াতী
ঔপন্যাসিক অমরেন্দ্র ঘোষ
রাজনীতিবীদ আমির হোসেন আমু
শাহরিয়ার নাফীস (ক্রিকেটার)
অভিনেতা মোশাররফ করিম
স্পীকার আঃ জব্বার খান
স্পীকার আব্দুল ওহাব খান
আগা বাকের খান
উৎপল দত্ত

এছাড়াও আরো অনেক গুনি লোকের জন্মস্থান বরিশাল। যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করে গেছেন। তাদের কথা জাতি আজীবন শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network