২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্গাপূজা

আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

ভিন দেশে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করছে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রিত হিন্দু রোহিঙ্গারা।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্যাতন-নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ থেকে প্রাণে বাঁচতে কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় নেয় তারা।

১০১ পরিবারের প্রায় ৪১৮ জন হিন্দু রোহিঙ্গা উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুতুপালংস্থ সরকারি বন বিভাগের জায়গার ওপর তাদের আশ্রয় শিবির।

সেখানেই হয়েছে পূজা মণ্ডপসজ্জার কাজ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হয় শারদীয়া দুর্গাপূজা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সন্নিকটে আরকান সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে এসব বাস্তুচ্যুত হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেলে তাদের জীবন যাপন ও পূজামণ্ডপ দেখা যায়।

এ সময় হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমিটির নেতা ইন্দ্র রুদ্র জানান, প্রশাসনের উদ্যোগে এবার হিন্দু শরণার্থী শিবিরে দুর্গাপূজা মণ্ডপ হচ্ছে। এ নিয়ে সবার মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

আরেক হিন্দু রোহিঙ্গা নেতা শিশু শীল বলেন, তারা চাহিদা অনুযায়ী রেশন সামগ্রী পাশাপাশি যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। এবারের পূজা উদযাপনে প্রয়োজনীয় নতুন কাপড়-চোপড় কিনতে কোনো সমস্যা হয়নি বলে সে জানায়।

নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে সুনীল পাল ও রতন রুদ্র জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টা প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োজিত রয়েছে। তবে পূজা উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে বিধায় অতিরিক্ত সংখ্যক আইন-শৃংখলা বাহিনী শুক্রবার থেকে টহল দিচ্ছে।

শুক্রবার থেকে প্রশাসনের তদারকিতে পূজামণ্ডপের কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়েছেন।

প্রশাসনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার বিজয়ী দশমীতে হিন্দু শরণার্থীরা প্রতীমা বিসর্জন দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

হিন্দু রোহিঙ্গা নারী বিশু বালা জানান, আমরা কোনো রকম এখানে আশ্রয় নিয়েছি। নিজ দেশের বাপ-দাদার বসতভিটায় ফিরে যেতে চাই। স্বদেশে পূজা উদযাপন করতে পারলে ভালো লাগত। তবে এবার উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শারদীয়া দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। এ নিয়ে আমরা সবাই খুশি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network