২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

বরিশালে শিক্ষা কর্মকর্তাদের ‘সম্মানী’ বাণিজ্য

আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

জেএসসি ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ‘সম্মানী’ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। সম্মানীর নামে তিনি বরিশাল জেলার ৬৩ কেন্দ্র থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ২ নভেম্বর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৭ নভেম্বর শেষ হয়। এ পরীক্ষায় বরিশাল জেলায় কেন্দ্র ছিল ৬৩টি। এর মধ্যে স্কুল কেন্দ্র ৪৫টি এবং মাদ্রাসা কেন্দ্র ১৮টি। প্রতিটি কেন্দ্রকে সম্মানী হিসেবে নির্ধারিত অংকের টাকা দিতে হয়েছে। এসএম মমতাজ মজিদুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা জেলা শিক্ষা অফিসারকে দুই হাজার টাকা সম্মানী দিয়েছি। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) তিন হাজার টাকা, ম্যাজিস্ট্রেটকে তিন হাজার টাকা এবং ট্যাগ অফিসারকে ২৫শ’ টাকা দিয়েছি। পরীক্ষা কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ট্যাগ অফিসার হলেন সদস্য। তবে পরিপত্রে তাদের সম্মানী দিতে হবে এমন কোনো কথা উল্লেখ নেই। তারপরও পরোক্ষভাবে অনেক কিছু করতে হয়। আমার স্কুলে দু’দিন একজন ম্যাজিস্ট্রেট আসছিলেন। তাকে সম্মানীর টাকা পাঠাতে একটু দেরি হওয়ায় তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে নালিশও করেছিলেন।’

এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফখরুজ্জামান জানান, লিখিতভাবে নয়, প্রস্তুতি কমিটির সভায় এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেন্দ্র সচিবই সম্মানী পৌঁছে দেন সবার কাছে। বরিশাল নগরীর জগদীশ স্বারসত বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরীক্ষা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে সম্মানী দেয়া হচ্ছে। এর আগে এ ধরনের নিয়ম চালু ছিল না। আগে দেইনি কেননা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সম্মানী বাবদ কোনো বরাদ্দ ছিল না। এ বছর আমরা তাকে ১৫শ’ টাকা দিয়েছি।’

বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দুই হাজার টাকা করে এ বছরই প্রথম সম্মানী দিলাম। সব কেন্দ্র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেই টাকার অংক নির্ধারণ করা হয়েছে।’ একাধিক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার সময় দাঁড়িয়ে ৩ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করি। এজন্য আমাদের সর্বোচ্চ সম্মানী দেয়া হয় মাত্র ১২০ টাকা। আর জেলা শিক্ষা অফিসারসহ অনেক কর্মকর্তা যারা কোনো দায়িত্ব পালন করেন না, তারা কয়েক হাজার টাকা সম্মানী নেন। আগে কর্মকর্তাদের সম্মানী দিলেও তারা ফিরিয়ে দিতেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে অনেক কর্মকর্তা চেয়ে সম্মানী নিচ্ছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস বলেন, ‘এ ধরনের সম্মানী দেয়ার জন্য কোনো ফান্ড নেই। তারপরও অনেক কেন্দ্র থেকে ইউএনও এমনকি ডিসিদেরও সম্মানী দেয়া হয় বলে শুনেছি। আবার অনেকে আছেন সম্মানী নেন না। এটা হচ্ছে যার যার মানসিকতার বিষয়।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘কর্মকর্তাদের সম্মানী দেয়ার বিধান কোথাও নেই।’ জানতে চাইলে বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, ‘পরীক্ষা পরিচালনার জন্য একটি বাজেট আছে। সেখান থেকেই পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মানী দিতে হয়।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network