আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২০
নিখোঁজের ৪ দিন পর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বস্তাবন্দি অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেন নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার ভোররাত সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা গ্রাম থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তোফাজ্জল উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম বাঁশতলার জুবায়েল হোসেনের ছেলে ও বাঁশতলা দারুল হেদায়েত মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্বজনরা জানান, শিশু তোফাজ্জল হোসেন গত বুধবার বিকালে নিজ গ্রাম থেকেই নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর অপহরণ সন্দেহে পরদিন বৃহস্পতিবার পরিবারের পক্ষ হতে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
এরপর পুলিশ ওই শিশুর সন্ধান পেতে দেশের সব থানায় বার্তা ও ই-মেইল পাঠায়
চারদিন পর শনিবার ভোররাতে গ্রামের বাড়ি বাঁশতলার এক প্রতিবেশীর বাড়ির পেছনে গ্রামবাসী বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশু তোফাজ্জলের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মামলা ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে শিশু তোফাজ্জলকে অপহরণের হত্যা করা হয়েছে। এরপর তার মরদেহ সিমেন্টের বস্তার ভেতর রেখে দেয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের কালা মিয়া ও তার ছেলে সেজাউল কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই মো. আবু মুসা জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গ্রামের কালা মিয়া ও তার ছেলে সেজাউল কবিরকে আটক করেছে। তাহিরপুর থানার ওসি মো.আতিকুর রহমান বলেন, অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিশু অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে কে বা কারা জড়িত রয়েছেন সে ব্যাপারে পরবর্তীতে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানানো হবে।