২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

শুরু হয়েছে অমর একুশের ভাষা শহীদদের স্মৃতিবিজড়িত ফেব্রুয়ারি মাস।

এ মাসজুড়ে দেশব্যাপী চলবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত নানা আয়োজন।

এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

তবে প্রতিবারের মতো ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে নয়, এবার মেলা শুরু হচ্ছে অমর একুশের মাসের দ্বিতীয় দিনে।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলার উদ্বোধন করবেন।

একুশের অন্যতম চেতনা ছিল- রাষ্ট্রীয় জীবনে অসাম্য, বৈষম্য, দুর্বলের ওপর সবলের আধিপত্য ইত্যাদির অবসান ঘটানো।

তবে এ মহৎ আকাক্সক্ষার কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

বিতর্ক রয়েছে, বিশ্বায়নের যুগে ভিন্ন সভ্যতা, ভিন্ন সংস্কৃতির যে অবাধ প্রবাহ, তাতে আমরা কতটা অবগাহন করব অথবা আদৌ অবগাহন করব কিনা, আকাশ সংস্কৃতির যেসব বিষয় আমাদের বিনোদিত করে, সেগুলো আমরা গ্রহণ করব কিনা।

এসব বিতর্কের মীমাংসা হতে পারে বিষয়টিকে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচারের মাধ্যমে।

প্রথমত, আমরা যেহেতু বাঙালি সেহেতু বাঙালিত্বকে সমুন্নত রাখতে হবে।

পাশাপাশি স্বতন্ত্র একটি জাতি হিসেবে নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রেখেই ভিন্ন সংস্কৃতি-কৃষ্টির সঙ্গে মিথষ্ক্রিয়া ঘটাতে হবে।

বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে সত্য; কিন্তু তা কি চালু করা সম্ভব হয়েছে সর্বস্তরে?

ভাষার প্রশ্নে বলতে হয়- আমাদের জীবন চলবে মাতৃভাষার মাধ্যমে।

তবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য শিখতে হবে সাধ্যমতো অন্য ভাষাও।

কিন্তু দুঃখজনক, সর্বস্তরে আজও বাংলা ভাষার প্রচলন সম্ভব হয়নি।

সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, নামফলক, গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে হাইকোর্টের আদেশের পর ৬ বছর পার হতে যাচ্ছে।

কিন্তু ওই আদেশের কোনো বাস্তবায়ন লক্ষ করা যাচ্ছে না।

বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলছে ইংরেজি নামে।

বস্তুত বাংলা ভাষার প্রতি মানুষের আবেগ ও ভালোবাসা দেখা যায় কেবল ফেব্রুয়ারিতে।

বাকি ১১ মাস তা থাকে অবহেলিত।

কোনো জাতি তার নিজ ভাষা ও সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে সামনে এগোতে পারে না।

এটা অনুধাবন করতে হবে সর্বস্তরের মানুষকে। প্রাণের তাগিদেই বাংলাকে ছড়িয়ে দিতে হবে সর্বস্তরে।

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

এর অর্থ পৃথিবীর সব মাতৃভাষাই স্ব স্ব জাতির নিজস্ব ও অপরিবর্তনযোগ্য ভাষা।

সব মাতৃ ও আঞ্চলিক ভাষাকেই সমান মর্যাদা দিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের পূর্বপুরুষরা রক্তের বিনিময়ে সে পথ দেখিয়ে গেছেন।

আমরা বাঙালি হয়ে যদি বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় সচেতন না হই, তাহলে চলবে কেন?

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network