আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২০
করোনা ভাইরাসের জীবাণু থাকতে পারে এমন সন্দেহে বরিশাল বিভাগের ২১ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
গত সপ্তাহে দেশে করোনা ভাইরাসে তিনজন শনাক্ত হয়েছেন বলে রোগতত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এমন ঘোষণা দেয়।
এরপর থেকে বাড়তে থাকে আতংক।
তবে গত তিন দিনে বরিশালের ৪ জেলার ২১ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়।
নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ২ জন ও মুলাদী উপজেলার ১জনকে।
এছাড়া ভোলা জেলার সদর উপজেলায়ও একজনকে হাম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এর আগ গত শুক্রবার পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলায় একজন ও ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় এক জন নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এরা সবাই বিভিন্ন দেশ থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন।
জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মীরা হোম কোয়ারেন্টাইনের প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তবে এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।
বর্তমানের বরিশাল জেলার ১০ জন, ঝালকাঠি জেলার ৫ জন ও পুটয়াখালী জেলার ৫ জন ও ভোলা জেলায় একজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা জেলায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি কমিটিসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।
বিভাগের ৬ জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯১৯ বেড।
খোলা হয়েছে করোনা ইউনিট।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: বাসুদেব কুমার দাস বলেন, গত ৩ দিনে বিভাগের ৪ জেলায় ২১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জেলাগুলো হচ্ছে ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালী।
তবে অধিকাংশই বিদেশ থেকে এসেছে। ##