আপডেট: মে ২, ২০২০
সৈয়দ নূর-ই আলম,বেতাগী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
বরগুনার বেতাগীতে উপজেলাব্যাপী করোনার পাশাপাশি হঠাৎ করে বেড়েই চলছে ডায়েরিয়ার প্রকোপ । বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৭ জন রোগী। ইতোমধ্যে এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪জন এবং সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭৯জন, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৬জন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত (২৯ এপ্রিল ও ০২ মে) মৃত চারজনের মধ্যে দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এবং বাকি দু’জন নিজ বাড়িতে ভিন্ন সময়ে মারা যান। এদিকে মহামারী করোনা ভাইরাস আতঙ্কে অনেকেই যখন হাসপাতাল বিমুখ ঠিক তখনই ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে করোনার মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ সময়ের ব্যবধানে মোট ২০৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।গড়ে প্রতিদিন ১৫-২০ জন নতুন রোগী ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এদের মধ্যে অধিকাংশই যুবক ও শিশু। হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট না থাকলেও সমসাময়িক অবস্থায় চিকিৎসা দিতে দিতে ক্লান্ত বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা । স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.রবীন্দ্রনাথ সরকার এর কাছে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডায়রিয়া একটি পানিবাহিত রোগ। আক্রান্ত রোগির টয়লেট নির্গত দূষিত পদার্থ জলাশয়ে মিশলে, সেই পানি অন্য যে ব্যবহার করবে সে আক্রান্ত হবে।এভাবে দূষিত পানি কোন না কোন ভাবে খাবারের পানির সাথে মিশলে এমন রোগের সৃষ্টি হয়।এছাড়াও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন(পায়খানা) ব্যবহার না করার ফলেও এমন রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তেন মং জানান, হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও পানিবাহিত সমস্যার কারনে গত কয়েকদিন ধরে লোকজন ডায়রিয়া ও পেটের পীড়াজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। খাবার স্যালাইনের সংকট ছিলো না তবে কলেরা স্যালাইনের সংকট স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করা হয়।