আপডেট: মে ২১, ২০২০
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বরিশালের মেঘনা, কীর্তণখোলাসহ বিভিন্ন নদীর পানি। এতে বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি দৈনিক আমাদের সময়কে নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের সহকারী প্রকৌশলী মো. জাবেদ হোসেন।
তিনি জানান, মেঘনা ও কীর্তণখোলাসহ বরিশাল অঞ্চলের অন্যান্য নদীতে পানির উচ্চতা ২ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
পানির উচ্চতা সময়ের সঙ্গে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বরিশালের চরাঞ্চলগুলো এবং শহরের নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করলেও বরিশালের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানকারী বেশিরভাগ মানুষ তাদের বাড়ি ফিরে গেছেন।
বরিশাল জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জানমাল রক্ষায় মঙ্গলবার রাতে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় সোয়া লাখ মানুষ আশ্রয় নিলেও বুধবার সকালের দিকে আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকায় তারা অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছেন।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে বাজানো হচ্ছে সাইরেন।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রগুলোতে টানানো হয়েছে সাংকেতিক ৩ (তিন) পতাকা।
তারপরও লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বা থাকতে রাজি নন।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসা মানুষের অভিযোগ, অনেক আশ্রয়কেন্দ্রে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই।
বেশিরভাগের বাথরুমগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। রয়েছে খাদ্য সংকটও।
তবে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মাদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, করোনাকালে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছি।
যার কারণে লোকজনের কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বাড়ি ফিরে যাওয়া লোকজনকে আবারও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মাদ ইয়ামিন চৌধুরী।
এদিকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরত মানুষদের ফের আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক আব্দুর রশীদ।
তিনি বলেন, সাইরেন বাজিয়ে ও পতাকা টানিয়ে মহাবিপদ সংকেত জনগণের মাঝে প্রচার করেও তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ফেরাতে পারছেন না সিপিপি কর্মীরা।