আপডেট: জুন ১৬, ২০২০
৩৪ বছরের প্রতিভা সম্পন্ন অভিনেতার আত্মহত্যা নিয়ে বলিউডে প্রবল সোরগোল তৈরি হয়েছে।
কেন তিনি অবসাদে ভুগছিলেন।
কেনই বা তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
নানা তথ্য উঠে আসছে।
সুশান্তর পরিবার থেকেও সন্দেহের তীর ছোঁড়া হয়েছে।
পুলিশ তদন্ত করছে।
সুশান্তর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বান্ধবীদের জিজ্ঞাসাবাদও করছে।
তবে এরই মধ্যে উঠে এসেছে বলিউডে চালু লবিবাজি, কোনঠাসা করার প্রবণতার মত নানা অভিযোগ।
অভিনেতা আভিনেত্রীরাই এই সব অভিযোগ গলা ফাটিয়ে বলছেন।
এমনকি একজন শীর্ষ প্রযোজকের ভূমিকাও সুশান্তর আত্মহত্যার পেছনে কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত সুইসাইড করেছেন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে।
অনেক মিডিয়া রিপোর্ট বলছে পেশাদার জীবনে রেষারেষির কারণেই নাকি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে চলে যান সুশান্ত।
সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পূর্ন তদন্তের আশ্বাস নিয়েছেন তিনি।
পরিচালক শেখর কাপুরও বলিউডের অভ্যন্তরীণ রাজনীিিতর দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
তবে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।
নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রায় দু’মিনিটের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে কঙ্গনা বলেছেন, আত্মহত্যা করেননি সুশান্ত সিংহ রাজপুত, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাঁকে।
স্বজনপোষণ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই করন জোহর সমেত তাঁর অনুমাগীদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে আসছেন অভিনেত্রী।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু নিয়েও কারও নাম না করে তাঁদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কঙ্গনা।
তাঁর অভিযোগ, ‘কাই পো চে’, ‘এম এস ধোনি : দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ এবং ‘ছিছোড়ে’র মতো ছবি করা সত্ত্বেও বলিউে সুশান্তকে স্বীকৃতি দেয়নি।
স্বজনপোষণকারীরা তাঁকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চাননি।
সেই হতাশা থেকেই এমন চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন সুশান্ত, যা কার্যত খুনই।
সোস্যাল মিডিয়ায় সুশান্তর শেষ কিছু পোস্টের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বলিউডে টিকে থাকতে সুশান্ত রীতিমতো মানুষের কাছে হাতজোড় করছিলেন বলেও এ দিন দাবি করেন কঙ্গনা।
কঙ্গনার দাবি,সুশান্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে আক্ষেপ করে বলেছেন, আমার কোনও গডফাদার নেই।
ছবি না চললে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বার করে দেওয়া হবে আমাকে। ইন্ডাস্ট্রি কেন আমাকে আপন করে নিচ্ছে না।
নিজেকে উচ্ছিষ্ট বলে মনে হয়। তাই কঙ্গনার প্রশ্ন, ওঁর মৃত্যুর সঙ্গে এই ঘটনার কি কোনও যোগ নেই ? বলিউডের প্রভাবশালীরা সাফল্যকে সহ্য করতে পারছিলেন না বলেও অভিযোগ করেন কঙ্গনা।
সুশান্তকে মনোরোগী এবং মদাসক্ত বওে রিপোর্ট লেখারও প্রবল সমালোচনা করেছেন অভিনেত্রী।
সুশান্তর মৃত্যুর সঙ্গে বলিউড ‘মাফিয়া’দের ভূমিকা নিয়েও অনেকে সোচ্চার হয়েছেন।
এদিকে, পরিচালক শেখর কাপুর টুইটে লিখেছেন, আমি জানতাম তুমি কী যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছো।
আমি সেই খারাপ মানুষগুলির কথা জানতাম, যাঁরা তোমায় টেনে নিচে নামাতে চেয়েছিল।
তুমি আমার কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে পারতে।
আমরা গত ৬ মাস যদি তোমার সঙ্গে থাকতাম, তাহলে খুব ভালো হতো। যদি তুমি আমার কাছে পৌঁছতে পারতে ভালো হতো।
যা ঘটেছে, সেটা তোমার কর্মফল নয়।