আপডেট: জুলাই ১০, ২০২০
সৈয়দ নূর-ই আলম, বেতাগী(বরগুনা) প্রতিনিধি :
বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ঠিক এমন সময়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরাসরি পাঠের বিকল্প পদ্ধতি অনলাইনে পাঠ থেকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পাঠের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অ্যানড্রয়েড মুঠোফোন ও দ্রুত ইন্টারনেট সুযোগ না থাকার কারণে অনলাইন পাঠ গ্রহনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে বিকাশের কথা বিবেচনা করে স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পাঠদান চালু করেছে। সরকারিভাবে ও বিটিভিতে পাঠদান চালু রয়েছে। পৌরশহর বা উপজেলার আসেপাশে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা অ্যানড্রয়েড মুঠোফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহার করে এ সুযোগ গ্রহণ করছে। তবে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামে বসবাসরত পরিবারের শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, অ্যানড্রয়েড মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় শতকরা ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে পাঠ গ্রহণের সুযোগ নিতে পারছে না।
জানা গেছে, বেতাগী পৌরসভা ছাড়া উপজেলার কোন ইউনিয়নের গ্রাম পর্যায়ে ব্রডব্র্যান্ড ও ওয়াইফাই সুবিধা নাই। অপরদিকে, বৈদ্যুতিক লোডশিডিং ফলে অনেক সময়ই থাকে না তাই যাদের অ্যানড্রয়েড মুঠোফোন কিংবা ল্যাপটপ রয়েছে তারাও সঠিক সময়ে এ পাঠ গ্রহণ কতে পারে না। আর যেসব অস্বচ্ছল পরিবারে অ্যানড্রয়েড মুঠোফোন বা ল্যাপটপ নেই তাদের পক্ষে তো সম্ভবই নয়।
বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনায় তাদের শিক্ষকরা অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। তবে এই সুযোগ নিতে পারছে সীমিতসংখ্যক শিক্ষার্থী। যাদের অ্যানড্রয়েড মুঠোফোন, ল্যাপটপ, এমবি, ব্রডব্র্যান্ড ও ওয়াইফাই সুবিধা আছে- তারাই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারছে।
বেতাগী গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল আমিন, হোসনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নান্না মিয়া বলেন, অনলাইনে পাঠদান এ সুযোগ থেকে শতকরা ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছে।