আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২০
শাহ আলম খান বেনাপোল প্রতিনিধিঃ মানছেনা বারণ ধেঁয়ে আসছে মাদক। যশোরের বেনাপোলের সিমানা অনেকটা পাশ্ববর্তী দেশ ভারত সীমান্তের গাঁ ঘেসে আছে দেশের বৃহত্তর স্থল বন্দর শার্শা উপজেলার বেনাপোল সীমানা। যার কারণে ভারত সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তের একশ্রেনির সুযোগ সন্ধানী অর্থলোভী মানুষ ভারত থেকে ফেন্সিডিল, মদ, গাঁজা হেরোইন সহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের চালান দেশের অভ্যন্তরে এনে এদেশের মানুষের মুখে তুলে দিচ্ছে এসব মাদক। ধ্বংশ করছে দেশের মেধাবী যুব সমাজ। প্রশাসনের তোয়াক্কা না করেই বেপরোয়া মাদক ও চোরাচালান সিন্ডিকেট। এছাড়াও প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানে মাদক বহনকারী আটক হলেও বরাবরের মতো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে মাদকের মূলহোতারা।
সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার দায়িত্বরত বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও দেশের অভ্যন্তরে দায়িত্বরত পুলিশ প্রশাসনের মাদক বিরোধী অভিযানে মাদকসহ মাদক বহনকারি ও কিছু সময় ছোট খাট মাদক ব্যবসায়ী আটক হলেও দেখা যায় দু’দিন যেতে না যেতেই জামিনে বেরিয়ে এসে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে মাদকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা মানুষগলো। এই বুঝি সন্তানের ভবিষ্যৎ মাদকের ছোঁয়ায় ধুলিসাৎ হতে বসেছে এমনই দুঃচিন্তায় সময় পার করছেন সীমান্তে বসবাসরত নিরীহ পরিবারের অভিভাবকরা। এমতাবস্থায় সীমান্তে মাদকের চোরাচালান বন্ধে প্রশাসনের আরও জোরদার দৃষ্টি কামনা করছেন সীমান্তে এলাকার সচেতন মহল।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় দিনভর ঘুরে রাস্তার উপর, রাস্তার আশে-পাশে, বাগানে, মার্কেটের গলিতে, ছাদের উপর, অফিস এবং বাসা বাড়ির আশে পাশে ডিমের খোসার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভারতীয় ফেন্সিডিল ও বিভিন্ন দেশের বিদেশী মদের বোতল।
স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত দেখে আসছি সীমান্তে প্রশাসনের মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে নিষিদ্ধ মাদক সহ মাদকের সাথ জড়িত ব্যক্তি আটক হলেও কোন না কোন অদৃশ্য কারণে তারা বেরিয়ে এসে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে পুনরায় বিভিন্ন মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। তাই মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দীর্ঘ মেয়াদীর শাস্তির ব্যবস্থা না করলে এভাবে কিছুতেই এদেশ থেকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয় বলে স্থানীয় সমাজ সচেতন মানুষেরা দাবি করেন।
বর্তমান সীমান্তের পুটখালী, দৌলতপুর, গাঁতিপাড়া, সাদীপুর, ঘিবা, রঘুনাথপুর, বারোপোতা, শিকারপুর সহ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে মাদকের চালান সবচেয়ে বেশি আসছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে। এর আগে এই সব সীমান্তে বেশ কয়েকবার বড় বড় অস্ত্রের চালানও আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।