১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

শিরোনাম
হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী “আইএইচসিসিসি কতৃক বিসিএস ক্যাডারদের সংবর্ধনা প্রদান” নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুরে শিশু হাবিবার মরদেহ উদ্ধার “ছাত্রলীগ নেতাকে হল থেকে বহিষ্কার”

জলবায়ূ পরিবর্তনে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বাড়লেও বাড়েনি চরফ্যাশনের বেড়ী বাধের উচ্চতা

আপডেট: মে ১১, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

চরফ্যাশন :
প্রতি বছর জলবায়ূ পরিবর্তনের কারনে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে নদ নদীর নাব্যতা। কিন্তু কোন পরিবর্তন আসেনি চরফ্যাসন উপকূল এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রনের কারিগরি নকশা। বারেনি বাধের উচ্চতা। ৪০ বছরের পুরনো বাধ ব্যাবস্থাপনা দিয়েই চলছে ঝড়-জলোচ্ছাস ও বন্যার মত প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা। উপকূলে ২০০৯ সালের ২১মে মাসে ঘূর্নিঝড় আইলায় আঘাত হানার পর বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বলেছেন আমরা সরকারের কাছে সুপারিশ করব বিদ্যমান বন্যা নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থার কারিগরি নকশার পরিবর্তন আনতে। চরফ্যাশন উপকূলীয় এলাকায় বেড়ী বাধের উচ্চতায় ভিন্নতা রয়েছে। কোথাও রয়েছে ভূ-পৃষ্ট থেকে ১৮ ফুট উচ্চতার বেড়ী বাধ। আবার কোথাও রয়েছে ২০ফুট। কোথাও কোথাও আবার ১২ থেকে ১৫ফুট উচ্চতার বেড়ী বাধও রয়েছে। তবে উচ্চতা যাই হোকনা কেন এবারে ২০২০ সালে ২০মে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আঘাত হানার পরে এই সকল পুরনো বাঁধ ও বাঁধ ব্যাবস্থা পনা নিয়েই চিন্তিত সর্ব মহল। এই উপজেলায় প্রায় ১১৬ কিলোমিটার বেড়ী বাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে প্রতিবছর বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের কারনে প্রায় ১০কিলোমিটার বাধের ক্ষতি সাধন হয়। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের সুপার সাইক্লোন সিডরের চেয়েও ২০০৯ সালের ২১মে ;র আইলায় বাঁধের ক্ষতি সাধন খুব বেশী হয়েছে।
বাধ এলাকায় বসবাসরত লোকেরা বলছে, বাঁধের উচ্চতা কম থাকায় সামান্য জোয়ারে তলিয়ে যায় লোকালয়। এছাড়া রক্ষনাবেক্ষনের অভাবেও ভেঙ্গে যাচ্ছে বাঁধগুলো এলাকাবাসী বলছে স্বাধীনতার পর এ যাবৎ বাধঁ সংস্কার না করার প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন যাবৎ বাাঁধগুলো ঝুকির মধ্যে রয়ে গেছে। আবার ইদানিং যেই বাঁধগুলো নির্মান করা হয় সেগুলো খুবই চিকন ও নরম। এ উচ্চতা খুবই কম। বলতে গেলে বাঁধ গুলো তৈরি করা হচ্ছে একটি সড়কের মত করে। তাই নদীর সাথে থাকা বাঁধগুলো জোয়ারের পানির জাপটায় সহজেই ভেঙ্গে যায়।
জানাগেছে, ১৯৭০ সালের ১২ই’ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্কারী ঝড়-জলোচ্ছাসের পর উপকূলীয় এলাকায় বসবাস রত হাজার হাজার জনগোষ্ঠির জান মালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাঁধ ব্যাবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়। সেই সময় সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা ও নদ-নদীর নাব্যতা এবং অন্যান্য বাস্তবতার নিরিক্ষে এই বাধের কারিগরি নকশা ও পরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে। কিন্ত এখন প্রতি বছরই সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বাড়ছে এবং কমে যাচ্ছে নদ-নদীর নাব্যতা। সেই দিকে বিচার বিশ্লেষন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর নতুন করে বাঁধ ব্যাবস্থাপনায় কারিগরি নকশার কোন পরি বর্তন আনছে না। যা এই মহুর্তে আনা খুবই জরুরি।
চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২, নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুরাতন নকশা পরিবর্তন করে ২০ ফুট উচু ৯২-১০৮ ফুট দীর্ঘ তলদেশ এবং আরসিসি ব্লক দ্বারা মোড়ানো ৩৩ কিঃ টেকশই বাঁধ ইতিমধ্যে ভোলা জেলার বিভিণ্ন উপজেলার ভাঙ্গন কবলতি এলাকায় পরীক্ষামূলক নির্মান করা হয়েছে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network