আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২১
ব্রাইটার্স ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক ক্লাইমেট টক উইথ পলিসি মেকার’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল চারটায় ভার্চুয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংসদ সদস্য এবং ন্যাশনাল ক্লাইমেট পার্লামেন্টের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপি, বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শামীম আল রাজী, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আতিক রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মইনুল চৌধুরী সহ ব্রাইটার্স ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ এবং সারা বাংলাদেশের সকল জেলা থেকে আগত ডেলিগেট বৃন্দ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অ্যালায়েন্স ফর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট এর প্রতিষ্ঠাতা আসিফ মইনুল চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় তরুণদের কাজে লাগাতে পারলে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে । জলবায়ু পরিবর্তন এবং এই সমস্যা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সেক্টর গুলোতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের গুরুত্বারোপ করতে হবে। সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ এর এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘ কর্তৃক গার্ডিয়ান অব দ্যা আর্থ পুরস্কার ভূষিত আতিক রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা । বাংলাদেশ এর ভয়াবহতম শিকার। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা জলবায়ু পরিবর্তনের সবথেকে বিভীষিকার শিকার হয়। আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে পারে।
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শামীম আল রাজী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে। তার মধ্যে অন্যতম যুব অভিযোগ কেন্দ্র। তিনি আরো বলেন, তরুণদের সচেতনতা সৃষ্টি করে তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। অভিযোজন ভিত্তিক নেটওয়ার্ক গঠন করে কাজ করতে হবে। জাতীয়ভাবে কর্মশালা করে তরুণদের নিয়ে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করতে হয়। এভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।
সংসদ সদস্য ও ন্যাশনাল ক্লাইমেট পার্লামেন্টের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কার্যকরী এবং সুদুরপ্রসারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরো বলেন, গ্রীন ইনভারমেন্ট তৈরীর মাধ্যমে আমাদেরকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে হবে। নদীশাসন, ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, উপকূলীয় অঞ্চল সহ সকল সাধারণ মানুষকে হিউম্যান বিহেভিয়ারাল চেঞ্জ ও ক্লাইমেট লিটারেসি বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। তাহলে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে পারব।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তারা বিভিন্ন উপকূলীয় শহর পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, খুলনা, শরীয়তপুর সহ বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলো তুলে ধরেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাইটার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশের পরিচালক সাইদুর রহমান সিয়াম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফারিয়া হোসেন অমি।