আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১
আপডেট:
সাইফুল ইসলাম
বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো সন্ধা, সুগন্ধা আড়িয়াল খাঁ এ তিন নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে কিছুতেই রক্ষা করা যাচ্ছে না। একে একে বিলীন হয়ে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা। চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রবল আকার ধারন করেছে নদী ভাঙ্গন। গত ১ মাসে নদী তীরবর্তী এলাকার ভাঙনে বিলিন হয়েছে একাধিক পরিবারের বসত ভিটা।
এদিকে গত বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি আকস্মিক নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এতে রাস্তা থেকে প্রায় ৫শ গজ ভূমি নদীতে হারিয়ে গেছে।
২০১৭ সালে ৫ জুন একই স্থানে নদী ভাঙনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সাথে যোগাযোগের এক মাত্র রাস্তাটি বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ক (জরুরী কর্ম) এর মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা হয়। এতে প্রায় ৩ বছর রাস্তাটি ব্যবহার উপযোগী ছিলো।নদীর প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা এ সড়কটির রক্ষায় গত বছর একই স্থানে মেসার্স আয়ারা এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী মোঃ আলীম খান নামের এজন ঠিকাদার পানিউন্নয়ন বোর্ডের র্অথায়নে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলে রাস্তাটি রক্ষাকল্পে কাজ করা করেন। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার আলীম খান দায়সারা ভাবে নিন্মমানের জিও ব্যাগ ও কাজ করার ফলে ৬ মাসের মাথায় একই স্থানে আবার নদী ভাঙনের ফলে রাস্তাটি বিলীন হয়েছে। এতে সরকারের ৩৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে আলীম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে গেল শুক্রবারের নদী ভাঙনের ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সাথে যোগাযোগের সড়কটি নদীতে বিলীন হওয়ায় যোগাযোগ রক্ষায় তড়িঘরি করে শুরু করা হয়েছে পানিতে বালু ভর্তি ব্যাগ (জিও) ফেলানোর কাজ। ধীর গতিতে নিন্ম মানের এ কাজেও প্রতিরোধ করা যাচ্ছেনা ভাঙ্গন। নদী তীরবর্তী ভূক্তভুগী লোকজনের অভিযোগ জরুরী কাজের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড সরকারী অর্থের লোপাট করছে,কাজের কাজ কিছুই হবেনা। এতে করে ভারি হবে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পকেট।
এমন অভিযোগের সঙ্গে এক মত পোষন করেছেন দেহেরগতি ইইনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান। তিনি অর্থ অপচয় রোধ করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
স্থানীয় সাংবাদিক মহিবুল ইসলাম সোহাগ জানানা,গত কয়েকদিনে প্রবল নদী ভাঙনের ফলে দেহেরগতি ইউনিয়নের বাহেরচর ঘোষকাঠী গ্রামের একাধি বাড়ির বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও নদী ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ২৬ নং বাহেরচর ঘোষকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,স্থানীয় মসজিদ,সাংবাদিক মহিবুল ইসলাম’র বসত বাড়িসহ বহু ঘর-বাড়ি।
পানিউন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৗশলী(বাবুগঞ্জ) মোঃ জাবেদ ইকবাল জানান, বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সাথে যোগাযোগের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আজ সোমবার ৩০ আগস্ট থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু হয়েছে।
মেসার্স আয়ারা এন্টারপ্রাইজ এ কাজটি করছেন বলে তিনি জানান।একই ঠিকাদারে মাধ্যমে একই কাজ পুনরায় করানোর ফলে কাজের কাজ কতটুক হবে! সে প্রশ্ন থেকেই যায় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।