৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

জ্ঞান অর্জন ই হোক আপনার নিত্যদিনের গল্প!

আপডেট: জুন ২০, ২০২২

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

একটা উক্তি দিয়ে শুরু করা যাক,,
” জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট,মুক্তি সেখানে অসম্ভব ” জ্ঞান ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব পশুর সমান!

আসুন এখন জ্ঞান কাকে বলে সেটা একটু জানার চেষ্টা করি,,,
জ্ঞান বলতে কোন বিষয় সম্পর্কে তাও্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা থাকাকে বোঝায়। এটা হতে পারে যে কোন বিষয়, ধরুন আপনি একজন ছাত্র। আপনার পড়াশোনার বিষয় সমাজবিজ্ঞান তাহলে আপনার সে সম্পর্কে সমগ্র জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। যেমন, সমাজবিজ্ঞান কি? সমাজবিজ্ঞান কোন কোন বিষয় নিয়ে কাজ করে? সমাজবিজ্ঞান কাদের কে বেশি গুরুত্ব দেয়? এভাবে করে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে উপকারী জ্ঞান অর্জন করা আপনার আমার সকলের জন্য প্রয়োজন।
এখন আসুন জ্ঞান অর্জন আমরা কেন করবো এটা সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করি?
একটা কাজ করতে হলে সবার আগে আমাদের চিন্তা করা দরকার আমরা কেন সেই কাজটি করতেছি?এর মধ্যে আসলে কি কোন কল্যান আছে? থাকলে সেগুলো কি? আমাদের কাজে লাগবে কতটুকু? এভাবে করে সুচিন্তিতা করা জ্ঞান অর্জনের প্রাথমিক ধাপ বলে আমি মনে করি। এখন আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে আপনি চিন্তা না বলে সুচিন্তিতা কেন বলছেন? হ্যাঁ আমি সুচিন্তিতা এজন্য বলছি কারন আমরা তো সবাই জানি চিন্তা দুই ধরনের হতে পারে।
সুচিন্তিতা এবং কুচিন্তা এজন্য বলেছি সুচিন্তিতার কথা। আবার এমন চিন্তা করা যাবে না যেটা আসলে কখনও আমার দ্বারা সম্ভব না। যেমন, ধরুন আপনি মনে মনে খুব দৃঢ়ভাবে চিন্তা করলেন আপনি বাংলাদেশ থেকে মটরগাড়িতে চড়ে আমেরিকার যাবেন। এখন বলেন আসলেই কি সম্ভব এমনটা করা? এজন্য এমন চিন্তা করা যাবে না যেটা আসলে আমাদের স্বার্থের বাহিরে।এখন কবিতার সুরে বলতে চাই,,,,,,,
প্রথা অনুযায়ী শিক্ষা
স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে হয়,
হাতে কলমে ও শিক্ষা
জ্ঞান অর্জন নয়!!
জ্ঞান অর্জন পরিকল্পনায় হলে
প্রয়োগ হবে বিজ্ঞতা।
স্ব স্ব স্থানে করলে নিরিখ
বাড়বে অনেক অভিজ্ঞতা!!
বিজ্ঞতাই সাফল্যের
নিশ্চিত চাবিকাঠি।
এখন আসুন আমরা আলোচনায় মুল আলোচনায় ফিরে যায়,
জ্ঞান অর্জন করা কি আসলেই আমাদের জন্য খুবই জরুরি? এমন প্রশ্ন অনেকেরই থাকতে পারে। তাহলে তাদের কাছে একটা প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা যাক,,,,, যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি কখনও সমান হতে পারে?
উওর টা হয়তো বা সবার জানা আছে। সবাই আমার সাথে এক বাক্যে হয়তো বা স্বীকার করবেন। হ্যাঁ আসলেই এক হতে পারে না। আসলেই সত্য এক হতে পারে না।

সামষ্টিক ভাবে আমাদের সকলের ই যে ধরনের জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন বা অত্যাবশকীয় বিষয়? একটা জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি, সাহিত্য, অর্থনীতি,সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি,ভূগোল, ইত্যাদি বিষয় সকলেই কম বেশি জ্ঞান থাকা জরুরি বলে আমি মনে করি।

এখন আসুন কিভাবে আমরা জ্ঞান অর্জন করতে পারি সেটা পয়েন্ট ভিত্তিক আলোচনা করা যাক,,,,,,,,,
প্রথমত,,,,আপনার ইচ্ছে বা প্যাশন অনুযায়ী জ্ঞান অর্জন করেন: আসুন এটা একটা গল্পের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করি,,,ধরুন আপনারা কয়েকজন বন্ধু মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন খেতে এখন আপনি দেখছেন যে, আপনার অধিকাংশ বন্ধু খাসির মাংস খেতে ইচ্ছে প্রসন করছে কিন্তু খাসির মাংস আপনার একদমই পছন্দ না। কিন্তু সেই মুহুর্তে আপনি বন্ধুদের মোটিভেশন এর কারনে খাসির মাংস ইচ্ছের বিরুদ্ধে খেলেন। পরবর্তীতে বাসায় এসে দেখলেন আপনার ডিসেনট্রি হয়েছে। তাহলে কি বন্ধুদের মটিভেশন এ আপনার খাসির মাংস উপকারে আসছে? না কারন আপনার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আপনি খেয়েছেন।

ঠিক তেমনই,,, জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে ও আপনার যেদিকে ইচ্ছে যে বিষয়ে আপনার ভালোবাসা আছে। সেদিকে আপনি গভীর ভাবে জ্ঞান অর্জন করেন এবং সেটাকে দুনিয়ায়তে প্রচার করুন। তাহলে আপনার কাছে ও ভালো লাগা কাজ করবে এবং পৃথিবীর মানুষের ও সেটা কাজে লাগবে।
ধরুন, আপনি একজন ভালো ডক্টর হতে চান, তাহলে আপনি সেই বিষয় এ বিশদভাবে জ্ঞান অর্জন করুন।এবং সেই জ্ঞান দিয়ে আপনি পৃথিবীর মানুষের কল্যান সাধনের কাজে নিয়োজিত হন।তাহলে আপনার পরিশ্রম সফলতা বয়ে আনবে।
দ্বিতীয়ত্ব,,,জ্ঞান অর্জন একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া :
একটা উক্তি দিয়ে শুরু করা যাক,
ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল,
গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।
মুহূর্তে নিমেষ কাল, তুচ্ছ পরিমাণ,
গড়ে যুগ যুগান্তর-অনন্ত মহান।
জ্ঞান অর্জনের এই প্রক্রিয়া টা আপনি চাইলে একদিন বিশাল জ্ঞান রাশির মালিক হতে পারবেন না। আপনি চাইলে পৃথিবীর সবকিছু কয়েকদিনে অর্জন করতে পারবেন না।
“জ্ঞানের কোন শেষ নেই, নেই কোন অন্ত”
আপনার চারপাশে যা কিছু আছে আপনি যদি চিন্তা করেন গভীর ভাবে সেখান থেকে ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
তৃতীয়ত, জ্ঞান অর্জন হোক মানব কল্যানের উদ্দেশ্য :
জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন এবং কাজ ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন।
— আবু বকর (রাঃ)
এই উক্তি থেকে বলতে পারি যে কাজ আমরা করবো সেটা যদি কারও কল্যানে কাজে না আসে তাহলে আমাদের সেই সময় এবং সেই জ্ঞান অর্জন আমাদের হবে ভেঙে যাওয়া কাঁচের গ্লাসের মতো যেটা দিয়ে আর কোন কাজ আমরা করতে পারবো না। যেটা ব্যবহারেন অনুপযোগী হয়ে যাবে।
পরিশেষে,,,,একটা গল্প দিয়ে শেষ করতে চাই,,,
গল্পটির নাম,,,,,কেন আগে বুঝি নাই,,,,,
মনে করুন আপনি এখন বিশ্বিবদ্যালয়ের পড়াশোনা করছেন, আপনার পরিকল্পনা আছে আপনি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েশন শেষ করে বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষক হবে, কিংবা পিএইডি করবেন ইত্যাদি স্বপ্ন আপনি নিজের মধ্যে লালন করছেন প্রতিনিয়ত কিন্তু সেটা করার জন্য যে কাজগুলো আপনার করার দরকার। যেমন আপনাকে প্রতিনিয়ত রুটিন করে পড়াশোনা করা দরকার ৭-৮ ঘন্টা, আপনার সাবজেক্টিভ বিষয় এর ক্লাস এর বাহিরে আরো জ্ঞান করা দরকার। সবই আপনি জানেন কিন্তু এগুলো কাজ না করে আপনি প্রতিনিয়ত বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাচ্ছে, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামে, ইত্যাদি সোসালমিডিয়া ব্যবহার করে আপনার চারটা বছরের তিন বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। এখন এসে আপনার সেই চিন্তা কথা সরন হয়েছে আপনার তো আর বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া হলো না। কারন আপনার রেজাল্ট ভালো নাই। যোগ্যতা আপনি অর্জন করতে পারেন নাই।
এখন এসে আপসোস করছেন,,, কেন আগে বুঝি নাই।
আসুন,,নিজেকে ভালোবাসি, নিজের শক্ত যায়গাটা খোঁজার চেষ্টা মাধ্যমে নিজেকে তৈরী করার চেষ্টা করি।প্রত্যাশা অনুযায়ী জ্ঞান অর্জনে মনোযোগী হয়।সময়েকে মুল্য দিতে চেষ্টা করি। প্রতিদিন নতুন কিছু জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা অবহিত রাখি।তাহলে একটা সময় পর যায়লে ও যেতে পারি আমার আপনার সেই মনে লালন কৃত স্বপ্নের মঞ্জিলের।
পরামর্শ :
১ সময়কে সঠিক ব্যবহার করুন।
২ অহেতুক কাজ থেকে নিজেকে দুরে রাখুন
৩ রঙিন দুনিয়ায় মোহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
” আসুন পৃথিবীর এই জ্ঞানের সাগর থেকে একটু কিছু নেওয়ার চেষ্টা করি।
একটা উক্তি দিয়েই ইতি টানি,,,,,,
যে ব্যাক্তির তাদের পূর্বের ইতিহাস, বংশ এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে কোন জ্ঞান নাই, সে হলো শেকড় বিহীন গাছের মত ।
— মার্কাস গারভে।

মো: হোসাইন আলী,শিক্ষার্থী
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বি

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network