৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

জলবায়ু সংকট থেকে মুক্তির দাবিতে পদযাত্রা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

সনৎ কৃষ্ণ ঢালী, স্টাফ রিপোর্টার:
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে আশ্বিনী কুমার হলের সামনে বৈশ্বিক পর্যায়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিচালিত আন্দোলন “ফ্রাইডেস ফর ফিউচার” এবং “ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমে জাস্টিস” আয়োজিত এক জলবায়ু ধর্মঘটে নিরাপদ পৃথিবীর জন্য জলবায়ুর ন্যায্যতা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দুর্যোগের ক্ষতিপুরণের দাবি জানানো হয়। “দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ ও নবায়নযোগ্য শক্তি, এতেই জলবায়ু সংকটের মুক্তি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ ও ঐতিহাসিকভাবে দায়ী রাষ্ট্র গুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে যোগ দেয় । শিক্ষর্থীরা “উই ওয়ান্ট ক্লাইমেট জাস্টিস ‘ শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন বরিশালের প্রধান সড়ক।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা “ফ্রাইডেস ফর ফিউচার” এর বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিরহার ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে উন্নত দেশগুলোকে চাপ দেওয়া এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ বন্ধসহ জলবায়ু দূষণ থামানোর দাবি জানানো হয়।

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে। ৮০ শতাংশ এলাকায় বন্যা হয়। সমুদ্রে পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি,তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ঘন ঘন সাইক্লোন বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, গ্রীষ্মকালে বেশি গরম। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা আগের থেকে ৫ – ১০ শতাংশ বেড়েছে।উপকূলীয় বন্যার তীব্রতা ও বেড়েছে ফলে আগের চেয়ে সাইক্লোন বেশি হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। তাপমাত্রা বেড়ে পানির উৎস শুকিয়ে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। উচ্চতা আর লবণাক্ততা বাড়লে তিন কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

বিশ্বের জ্বালানি চাহিদার ৮০ শতাংশ এর বেশি যোগান দেয় জীবাশ্ম জ্বালানি । পেট্রোলিয়াম তেল, কয়লা, প্রকৃতিক গ্যাস। বিদ্যুৎ জ্বালানি এই জীবাশ্ম জ্বালানির উপর চরম নির্ভরশীলতা ভবিষ্যৎ বিপর্যয়ের কারণ । যার পেছনে রয়েছে মূলতো তিনটি কারণ জ্বালানি নিরাপত্তা ,পরিবেশ দূষণ এবং তেল ভিত্তিক ভ্রু রাজনীতি। ধারণা করা হচ্ছে আগামী ৪০ থেকে ৫০ বছরে এই মজুদ নিঃশেষ হয়ে যাবে। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের আরেকটি উদ্যোগের বিষয় হলো এই জ্বালানি ব্যবহারের ফলে গ্রিন হাউজ নির্গমন পরিবেশে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে যা বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার মূল কারণ ।
ধর্মঘটে তরুণরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী। অথচ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব গভীর সংকটে পরেছে। তাদেরকেই নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব, দ্রুততম সময়ে প্রতিশ্রুতি অর্থ দিতে হবে। জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার যোগ্য পথ নকশা প্রণয়ন, দ্রুত বাস্তবায়ন এবং অধিকার ভিত্তিতে অভিযোজন তহবিল সরবরাহ করতে হবে।আরো বলা হয় জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিভিন্ন উন্নত দেশ ও প্রতিষ্ঠান বহুদিন ধরেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপানতার মধ্যে অন্যতম। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, জেনারেল ইলেকট্রনিং সুমিটোমো কর্পোরেশন, জাইকা, এইচএসবিসি ব্যাংক এর মধ্যে অন্যতম বিনিয়োগকারী। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ানক প্রভাব বিবেচনায় বিশ্ব এখন এক সংকটময় মুহূর্তে রয়েছে, যাকে জাতিসংঘ মানবতার জন্য রেড অ্যালার্ট সংকেত হিসেবে অভিহিত করেছে। সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের প্রকৃতি ও পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম, বিশেষ করে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যহারের জন্য দায়বদ্ধ করে, তা থেকে সরে এসে নবায়ন যোগ্য জ্বালানি প্রসার করতে হবে। কার্বননিঃসরণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুতে বিশ্বের উন্নত দেশ এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।

জলবায়ু সংকট উত্তরণে প্রয়োজন দূষণকারী দেশগুলোর থেকে প্রাপ্ত ন্যায্য হিসাব নিশ্চিত করা।
আন্দোলন কারী শিক্ষার্থীরা আরো বলেন এই পৃথিবী আমাদের। তাই এই পৃথিবী রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। সেই দায়িত্ব থেকেই আজকে এখানে সবাই ধর্মঘটে অংশগ্রহন করেছি । সহানুভূতিশীলতা ক্ষতিপুরণের পরিবর্তে ন্যায়বিচার এবং দায়িত্ববোধের দাবি করছে তারা । জলবায়ু কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা, অভিযোজন বাসহনশীলতা বৃদ্ধি কঠিন মনে হতে পারে। তবে এটি অত্যাবশক। দুষণকারী জীবাশ্ম জ্বলানী মালিকদেনকের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি তরুণদের ভবিষ্যতের সুরক্ষায় আন্ত:প্রজন্ম জলবায়ু সুবিচার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্য-বাধকতা প্রণয়ন করতে হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network