আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৪
পটুয়াখালী-০১ আসন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥
“অ্যাড. আফজাল হোসেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে জোটে না থেকে কংগ্রেস প্রার্থীকে জেতাতে মাঠে নেমেছে। দল ও জোটের সিদ্ধান্ত না মেনে আফজাল কোন সাহসে, কোন পাওয়ারে,কার কথায় কংগ্রেস পার্টির পক্ষে কাজ করছে? সে কি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হসিনার থেকেও ক্ষমতাধর? কংগ্রেসের পক্ষে কাজ করতে আ.লীগের সভানেত্রীকে চিঠি না দিয়ে আফজালকে চিঠি দিয়েছে নাকি; আমি সেই চিঠির বিশদ অনুসন্ধানের দাবি জানাই”। শেখ হাসিনা আমাকে পটুয়াখালীর আওয়ামীলীগের কাছে পাঠিয়েছেন। দলের নির্দেশে জেলা আওয়ামীলীগসহ দলের একাধিক নেতাকর্মী লাঙ্গল নিয়ে কাজ করছেন। অথচ আফজাল হোসেন কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী ডাব প্রতীক নিয়ে র্নিবাচনে অংশ নেয়া নাসির উদ্দিনের হয়ে কাজ করছে। বিপদগামী-পথভ্রষ্ট এবং বিবেকের বিপর্যয় না ঘটলে আফজাল এটা করতে পারেনা”। পটুয়াখালী-০১ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে মাঠে থাকা জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার তার নির্বাচনী সভায় এমন বক্তব্য দিয়েছে।
রুহুল আমীন আরও বলেন-“জননেত্রী শেখ হাসিনা স্নেহ-অনুগ্রহ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-০১ আসনে তাকে মনোনীত করেছেন। সেখানে আফজালের নেতৃত্বে যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. শহিদুল ইসলাম,ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকসহ গুটি সংখ্যক ব্যক্তি ব্যতীত সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাকে সহায়তা করছেন। যেখানে নেত্রী তার দূরর্দষিতা দিয়ে আমেরিকার হুমকীকে উপেক্ষা করে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্নসহ দেশের উজ্জল ভবিষ্যত গড়তে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। সেখানে আফজাল সমর্থকরা কংগ্রেস প্রার্থীকে জেতাতে জোটের বিপরীতে হাটছেন। আওয়ামীলী যে একটি সু-সংগঠতি রাজনৈতিক দল, তা আমি পটুয়াখালী এসে বুজেছি। আমি শেখ হাসিনার এই স্নেহ-অনুগ্রহ এবং আর্দশকে জীবন দিয়ে হলেও মূলায়ন করব। দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সঙ্গে কথা হলে আফজাল ও তার সমর্থক প্রসঙ্গ এবং সার্বিক বিষয় খুলে বলেছি; ওবায়দুল কাদের আমাকে আশ^স্ত করেছেন”।
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীরসহ ভোটের মাঠে থাকা নেতাকর্মীরা বলেন-গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিঠির মাধ্যমে নৌকা উঠিয়ে পটুয়াখালী-০১ আসনে লাঙ্গল দিয়েছেন এবং ১৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হলে তিনি কাজী আলমগীরকে লাঙ্গলের প্রার্থীকে সহযোগীতা করতে বলেন এবং দলের মহসচিবও ফোন কলে একই কথা বলেন। ১৯ ডিসেম্বর জরুরী সভা ডেকে বিষয়টি দলের সকল নেতাকর্মীকে অবগত করে পরবর্তীতে নির্বাচনী কাজে নেমে পরি। অথচ আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের কিছু অংশ এবং যুবলীগের সভাপতি,ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ একটি গোষ্ঠি কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদারে পক্ষে কাজ করছে এবং নাসিরকে আফজালের বাসায় আশ্রয় দিয়ে তাকে বিজয়ী করতে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়াও আফজালের এক ঘনিষ্ট প্রভাবশালী সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বরকে টাকা দিয়ে ডাবের পক্ষে ভোট মাঠে নামিয়েছেন। যা আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগকে অবগত করেছি। স্থানীয় জাপার নেতাকর্মীরা বলেন-“জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. শহিদুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা রুহুল আমীনকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ন স্লোগান-বক্তব্য দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বির্তকের জন্ম দিয়েছেন। এসব প্রসঙ্গে যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম গনমাধ্যমে কথা বলতে নারাজ।
অ্যাড. আফজাল হোসেন বলেন-“কোন জোট নাই,আসন সমঝোতায় আমি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি এবং রুহুল আমিন প্রার্থী হয়েছে। দল থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের লাঙ্গল প্রতীককে সহযোগীতার নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন-আমি তো আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা,কে কোথায় নির্দেশনা দিয়েছেন আমি তো জানিনা। তিনি কার পক্ষে কাজ করছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন-“৪ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে নেত্রী বলেছেন উৎসব মূখর পরিবেশে যে যার মত যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে; যা ব্যক্তিগত বিষয় এবং অভিরুচি”। ##