আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪
ইতালি প্রতিনিধিঃ
হারিয়ে যেতে বসা গ্রামীণ ঐতিহ্য পিঠাপুলির সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে ইতালির সেন্তসেল্লে ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
পিঠা উৎসবে মেতেছেন ইতালির রাজধানীর রোমের বাংলা প্রবাসীরা এ সময় আসা অতিথি ও দর্শনার্থীদের উৎসবে তাদের আপ্যায়নে তেলের পিঠা, নকশি পিঠা, কুশলী, ভাপা, দুধ পিঠা, নারিকেল পিঠা,ক্ষীর পুলি , পাটিসাপটাসহ বাহারি নামের ও ভিন্ন স্বাদের ১২ রকমের ১ হাজার পিঠা তৈরি করা হয়। এসব পিঠা বিনামূল্যে খেতে দেওয়া হয় অতিথিদের।
শুক্রবার(৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইতালির রাজধানীর রোমে সেন্তসেল্লে একটি হল রুমে সেন্তসেল্লে ঐক্য পরিষদের আয়োজনে এই পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালি বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব আশফাকুর রহমান সভাপতিত্ব করেন, সেন্তসেল্লে ঐক্য পরিষদের সভাপতি ইসরাফিল বারী,পরিচালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোকবুল হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সুমন। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এ উৎসব ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে দক্ষিণ এশিয়ার সব চেয়ে বড় পিঠা উৎসব হিসেবে।
পশ্চিমা সৃংস্কৃতির ভিরে বাঙালির বাঙালিপনাকে বাচিঁয়ে রাখতে আর প্রবাসের মাটিতে একই ছাদের নিচে রাখতে এ আয়োজন বলছেন আয়োজকরা।
উৎসবে আসা আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়েছি। হাতে তৈরি এসব পিঠা সবাই পছন্দ করেছি এরকম পুরনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য সেন্তসেল্লে ঐক্য পরিষদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আগামী বছরগুলোতে এরকম ভিন্ন রকমের আয়োজন করবেন বলে প্রত্যাশা করেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্য ইতালি মাটিতেও ধরে রাখার জন্য সেন্তসেল্লে ঐক্য পরিষদের সকলকে সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে এরকম আয়োজন সবসময় করার আহবান জানান তিনি, এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ইতালি আপনাদের সার্ভিস সহযোগিতার জন্য সবসময় পাশে থাকার কথা ব্যক্তই করেন। পিঠা উৎসব নিয়ে সেন্তসেল্লে ঐক্য পরিষদের সভাপতি ইসরাফিল বারী বলেন, গ্রাম বাংলার এ উৎসব প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দিতে ভবিষ্যতে এমন আয়োজন আমরা প্রতিবছরই করবো।অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ পরিবেশন করা হয় বাংলা সাংস্কৃতিক ।