৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

মুক্তিযুদ্ধের নতুন সূচনাঃ ১০ এপ্রিল 

আপডেট: এপ্রিল ১০, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

শাকিল শাহরিয়ার 
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: ঐতিহাসিক ১০ এপ্রিল, বাংলার ইতিহাসে এক গৌরব উজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলাদেশেে প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিলো। এই সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় মুক্তিযুদ্ধ।

 একাত্তরের ২৫ শে মার্চ পাক হানাদার বাহিনী নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর বর্বরচিত হামলা চালায়। গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রেফতার হওয়ার আগে ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীতে ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা (বর্তমানে মুজিবনগর) আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বার্বভৌম ও গণপ্রজাতন্ত্র রূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করা হয়। একই সাথে প্রবাসী সরকারের এক অধ্যাদেশে বঙ্গবন্ধুর ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের কর্মকান্ড বাংলাদেশ ভূখন্ডের বাইরে থেকে পরিচালিত হয়েছিল বলে এ সরকার প্রবাসী মুজিবনগর সরকার হিসেবেও খ্যাত।

মুজিবনগর সরকারকে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া কয়েকটি বিভাগ মন্ত্রিপরিষদের কর্তৃত্বাধীনে থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। তার অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদকে সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা, তথ্য, সম্প্রচার ও যোগাযোগ, অর্থনৈতিক বিষয়াবলি, পরিকল্পনা বিভাগ, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, শ্রম, সমাজকল্যাণ, সংস্থাপন এবং অন্যান্য যেসব বিষয় কারও ওপর ন্যস্ত হয়নি সেসকল দায়িত্ব তার উপর অর্পন করা হয়।

 অর্থ, পরিকল্পনা, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ. এইচ. এম কামারুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্র, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। খন্দকার মোশতাক আহমদকে পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়। 

বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণার কেন্দ্রে ধারণ করে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক মুজিবনগর সরকার দেশপ্রেমিক মুক্তিপাগল জনতাকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধকে একটি সফল জনযুদ্ধে পরিণত করে। আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সহযোগিতা আদায়ে তাঁরা অনন্য ভূমিকা পালন করেন। এই সরকারের নেতৃত্বে মাত্র ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী অথবা বিদ্রোহী হয়ে পড়তাম। ফলে মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন কার্যাবলী পর্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে কত ব্যাপক এবং সুসংগঠিত ছিল এই সরকারের কর্মসূচি এবং গঠন কাঠামো।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network