আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এবার আলোচনায় উঠে এসেছে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের নাম। তিনি পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। নেছারাবাদ উপজেলা ভূমি অফিস গতকাল বুধবার বিকেলে (২৭ নভেম্বর) আউয়াল ফাউন্ডেশন ভবন দখলে নেয়ার পর লায়লা পারভীনের জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীন নাজিরপুর উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র থানার সামনের একটি বাড়ি পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে অভিনব জালিয়াতির মাধ্যমে ভাড়া দিয়েছেন। বাড়িটি ২০১৭ সাল থেকে পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নাজিরপুর সাব-জোনাল অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সম্প্রতি ঢাকা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম সাবেক এমপি আউয়ালের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে নাজিরপুরে আসলে তাদের অনুসন্ধানে এ জালিয়াতির বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
সূত্রে জানা যায়, আউয়াল এমপি থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত নাজিরপুর সদর বাজারের একটি জায়গা ছয়টি ভুয়া নামে একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। যা ২০১৭ সালে পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কাছে ভাড়া দেয়া হয় এবং সেখানে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নাজিরপুর সাব জোনাল অফিসের কার্যক্রম চলে আসছে।
কিন্তু বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্রে দেখা যায়, লায়লা পারভীন ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে প্রতিমাসে ১৭ হাজার ২৫০ টাকা ভাড়া চুক্তিতে পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কাছে যে বাড়িটি ভাড়া দিয়েছেন তা নাজিরপুর শহরের হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি বাড়ি। ওই বাড়ির মালিক পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রয়াত আলহাজ শেখ আবুল বাশার। বাড়িটি ১৩ শতক জমির ওপর নির্মিত। ৩ তলা ভবনের বাড়িতে ৬টি ইউনিট রয়েছে। আলহাজ শেখ আবুল বাশার গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বড় ভাই।
এ বিষয়ে প্রয়াত শেখ আবুল বাশারের ছোট ভাই ব্যবসায়ী এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী শাহিন জানান, লায়লা পারভীন অভিনব জালিয়াতি করে বাড়িটি ভাড়া দিয়েছেন। ভাড়া দিয়েছেন এক জায়গা আর চুক্তিপত্রে দেখিয়েছেন অন্য জায়গা।
নাজিরপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আবুল হোসেন জানান, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নাজিরপুর সাব-জোনাল অফিসের কার্যক্রম যেখানে চলছে সে ভবনটি খাস জমির ওপর নির্মিত। তবে ছয় ব্যক্তির নামে ওই জায়গা একসনা লিজ নেয়া ছিল। পরবর্তীতে লিজ নবায়নের জন্য ওই ছয় ব্যক্তিকে নোটিশ করা হলে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য লায়লা পারভীনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।