আপডেট: ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
মুলাদী প্রতিনিধি ॥
মুলাদীতে চরপদ্মা আফছারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলে রাব্বী খানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্ণীতি ও অর্থ আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে ফরমপূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে প্রধান শিক্ষক আতœসাৎ করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। ফরমপূরণের টাকা ছাড়াও প্রধান শিক্ষক ফজলে রাব্বী খান বিদ্যালয়ের হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে অনৈতিক উপায়ে টাকা-পয়সা আদায় করে নিচ্ছেন। এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের পক্ষে স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও চরপদ্মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ বাবুল শরীফ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বাবুল শরীফ জানান মুলাদী উপজেলার প্রান্তিক ছাত্র-ছাত্রীদের অপেক্ষাকৃত কম খরচে শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সফিপুর ইউনিয়নে চরপদ্মা আফছারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলে রাব্বী খানের অনিয়ম, দূর্ণীতি ও অর্থ আতœসাতের কারণে শিক্ষার্থীরা ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। তিনি বিদ্যালয়ের দরিদ্র-হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে অনৈতিক উপায়ে টাকা পয়সা আদায় করে নিচ্ছেন। বাবুল শরীফ আরও জানান ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরমপূরণে বরিশাল শিক্ষাবোর্ড মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১৮৫০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের ১৯৮০টাকা নির্ধারণ করে। চরপদ্মা আফছারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলে রাব্বী খান শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪০০০ টাকা আদায় করেছেন। নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্যদের কাছ থেকে ৪৫০০ টাকা এবং দুই বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০০০টাকা আদায় করেছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের মোঃ নয়ন ও মাহবুব হোসেন নামের দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ফরমপূরণে ১০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক রুহুল আমিন ফারুক সিকদার জানান প্রধান শিক্ষক ফজলে রাব্বী খান নিজের পকেট ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য বিভিন্ন অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তিনি প্রার্থী হওয়ায় গোপনে তার মনোনয়নপত্র ছিড়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। কিন্তু আদালতে মামলা দায়ের করায় বর্তমানে ম্যানেজিং কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলে রাব্বী খান দূর্ণীতি ও অর্থ আতœসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান ২০২০ সালের এসএসসি ফরমপূরণে শিক্ষার্থী প্রতি ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি তাদের স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে থাকতে পারে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুস সালাম জানান জনবল কম থাকায় চরপদ্মা আফছারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে শীঘ্রই তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।