আপডেট: মার্চ ৮, ২০২০
খাদ্য লড়াইয়ে নারী- এই শেøাগানকে সামনে রেখে প্রান্তজনের আয়োজনে ও খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক খানি- বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় আজ রবিবার, ৮ই মার্চ, ২০২০ তারিখ বরিশাল পুলিশ লাইন রোডস্থ সেলিব্রেশন পয়েন্টে সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন উপলÿ্যে “নারী কৃষকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই” শীর্ষক এর উপর এক শুনানী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রান্তজনের আযোজনে শুনানীতে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা মানবাধিকার জোট এর সভাপতি ডা: সৈয়দ হবিবুর রহমান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা জনাব মো: মাহফুজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগ সহ সভাপতি মজিবর রহমান খান, উন্নয়ন সংগঠক বরিশাল ক্যাব এর সম্পাদক রনজিত দত্ত, সি. ডি.পি. এর সমন্বয়কারী জিয়াউল ইসলাম বাবু, সুগন্ধার নির্বাহি পরিচালক আলেয়া পারভীন।
শুনানীর শুরুতেই প্রান্তজনের পÿে স্বাগত বক্তব্য ও ০৮ মার্চ এর উপর ধারণা পত্র পাঠ করেন প্রান্তজন এর ম্যানেজার ইব্রাহিম হামিদ মাছুম।
এরপর শুনানীতে মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সিডিপির জেলা সমন্বয়কারী জিয়াউল হাসান বাবু, বেলার সমন্বয়কারী ওয়াহিদুজ্জামান, কৃষানী সেলিনা বেগম,কৃষানী রেহানা বেগম, কৃষানী নূরজাহান, কৃষানী লামিয়া আক্তার, কৃষানী জহুরা খানম প্রমূখ।
শুনানীতে উপস্থিত বক্তারা নারী কৃষকদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান, নারীদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করণের জন্য নারী বন্ধব বাজার সৃষ্টি, কৃষিজমি সুরÿা, কৃষিজমি সুরÿা আইনে নারীর মালিকানা ও ভোগদখলের বিষয়ক ধারা সংযুক্ত করার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের মোট নারী জনগোষ্ঠির ৬৮.১ শতাংশই কৃষি কাজে জড়িত।
কিন্তু এখনো কৃষিতে নারীর ভূমিকাকে শুধু সাহায্যকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী হিসেবে নয়।
গত সাত বছওে বাংলাদেশে কৃষি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে ৮ শতাংশ বাড়লে ও ভূমিতে গ্রামিন নারীর মালিকানা মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশ এবং বাকি ৯৬ শতাংশ জমির ব্যক্তি মালিকানা রয়েছে পুরুসের নামে।
ভূমিতে নারীর প্রবেশাধিকার সীমিত থাকার ফলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
বক্তারা নারী কৃষকদের স্বীকৃতি ও খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পাশাপশি সকল পর্যায়ে বাজারে নারী কৃষকদের পন্য বিক্রয়ের সু-ব্যবস্থা, ভূমিতে নারী কৃষকদের মালিকানা নিশ্চিতকরণ ও শ্রম আইনে অন্তর্ভূক্ত করে মজুরী বৈষম্য দূরীকরণের দাবি তোলা হয়।
শুনানী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন পলাশ কুমার ঘোষ।