আপডেট: এপ্রিল ২৯, ২০২০
জি.এম রিপন,বানারীপাড়া ঃ
বরিশালের বানারীপাড়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সেই মা তুজকাবিন (৪০) ও মেয়ে নাসরিন আক্তার আখি (১৭) করোনা জয় করে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় তারা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের আইসিলোশন থেকে করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরীবার পরীকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কবির হাসানের নেতেৃত্ব তাদেরকে করোনা পরীÿায় নেগেটিভ হওয়ার ছারপত্র সহ উদকাঠী ইউনিয়নের তেতলা মধুরভিটা গ্রামের বাড়িতে পৌছে দেয়া হয়।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরীবার পরীকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কবির হাসান জানান, মা-মেয়ে বাড়ি ফিরে যাতে করে স্বাভাবিক ভাবে বসবাস করতে পারেন, সে জন্য তারা তাদেরকে ওই গ্রামে নিয়ে যান।
এসময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওই এলাকার সকলকে এখন থেকে তাদের আর করোনা নেই বলে জানান।
এÿেত্রে তাদেরকে ওই গ্রামের বাড়িতে থাকার জন্য আর কেউ যাকে করে ভূল ধরণা না করে সে জন্য তিনি স্থানীয়দের প্রতি সহায়তা প্রদানের আহবান জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরীবার পরীকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কবির হাসান জানান, করোনায় আক্রান্ত সেই মা-মেয়ের চিকিৎসা দেয়া নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ফিরোজ কিবরিয়ার নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট রিপোর্টের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল থেকে নিয়ম অনুযায়ী ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সেখান থেকে তার টেস্ট রিপোর্ট এখনও আসেনী।
তিনি জানান, ডাক্তার ফিরোজ কিবরিয়ার টেস্ট রিপোর্ট না আসলেও তিনি নিজ বাড়িতে সুস্থ আছেন, ভাল আছেন।
এর আগে তিনি স্বেচ্ছায় তার বাড়িতে ১৪ দিন ধরে হোম কোয়ারেনন্টাইনে ছিলেন।
মঙ্গলবার তার হোম কোয়ারেনন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
তিনি জানান, একই সময় বানারীপাড়া ও নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরীকল্পনা কর্মকর্তার নেতেৃত্বে পৃথক ভাবে দু’টি গ্রæপে মা ও মেয়ের সংস্পর্শে আসা ১৮ জনের নমূনা সংগ্রহ করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে টেস্টে পাঠিয়ে ছিলেন।
এদের মধ্য থেকে ৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া ১১ জনের টেস্ট রিপোর্ট এখনও আসেনী।
ফলে তাদের বিষয়ে এখনও কোন কিছুই বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরীকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কবির হাসান।
প্রসংঙ্গত ২১ এপ্রিল বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরীকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো.কবির হাসানের নেতেৃত্বে উদয়কাঠী ইউনিয়নের তেতলা মধুরভিটা গ্রাম থেকে করোনায় আক্রান্ত মা তুজকাবিন (৪০) ও মেয়ে নাসরিন আক্তার আখি (১৭)কে তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের আইসিলোশনে পাঠান।
২২ এপ্রিল বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরীকল্পনা কর্মকর্তার উদ্যোগে পৃথক ভাবে দু’টি টিমে তারা নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরীকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ফিরোজ কিবরিয়া সহ ১৯ জনের নমূনা সংগ্রহ করে টেস্ট রিপোর্টের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান।